শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রদের ওপর পুলিশি বর্বরতার ভিডিও প্রকাশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১৫ পিএম

বিতর্কিত ও ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করায় দুই মাস আগে ভারতের রাজধানী দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ যে বর্বর হামলা চালিয়েছিল তার একটি ভিডিও এবার সামনে এলো।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ বিশেষভাবে সজ্জিত হয়ে লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারতে থাকে। ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ঢুকে হঠাৎ করেই নির্বিচারে লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটাতে থাকে দাঙ্গা পুলিশ। গেল বছরের ১৫ই ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
ওইদিন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এছাড়া বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রায় ১০০ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ব্যাপক সমালোচনা হলে, নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ।
গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল করেন সিএএ-র বিরোধিতা করে। এরপরই সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষার্থীদের উপরে চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশ লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে আন্দোলন প্রতিহত করতে চেষ্টা করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ জনকে আটক করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ও সাবেকদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। লাইব্রেরির সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে সেটি বের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বই-খাতা খুলে পড়াশোনা করছেন শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ লাইব্রেরির মধ্যে মারমুখী পুলিশ বাহিনী দেখে হুলস্থুল পড়ে যায় চারিদিক।
মারধর থেকে বাঁচতে অনেকেই টেবিলের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ আবার দেওয়ালের সঙ্গে লেগে ছিলেন। তবে কেউ পুলিশের সেই নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি। পুলিশ এলোপাথারি বেধড়ক পেটাতে থাকে ছাত্রদের।
এদিকে ভিডিওটি সামনে আসার পর নতুন করে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অপরাধ দমন শাখা জামিয়া কান্ডের তদন্ত করছে। ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বহু মানুষ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই তাদের ওই পদক্ষেপ করতে হয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন