স¤প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)’র বিরোধিতায় মুম্বাই হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিলেন মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি। তার রায় দিতে গিয়ে প্রতিবাদের অধিকারকেই সামনে নিয়ে আসেন আদালত। আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোনো আইন বা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মানে সংবিধান বা দেশ বিরোধিতা নয়। গত শনিবার বিকেলে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই কথাই ফের মনে করিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তার পাশাপাশি অবশ্য সতর্ক করলেন আন্দোলনের রূপরেখা নিয়েও।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ১৫তম পি ডি দেশাই মেমোরিয়াল শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভিন্নমত কীভাবে প্রকাশ করবেন, সেটাও জানতে হবে। না হলে রাষ্ট্র প্রতিহত করবে। গণতন্ত্রে ভিন্নমত ‘সেফটি ভালভ’এর কাজ করে। অর্থাৎ বিরোধিতাই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।
তিনি বলেন, প্রশ্ন ও বিরোধিতা করার পথ বন্ধ করলে রাজনৈতিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৃদ্ধির পথ বন্ধ হয়ে যায়। ভারত বহুত্ববাদের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল। তাই এখানে জাতীয় ঐক্যের অর্থ হল, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বোধের মেলবন্ধন ও সংবিধানের আসল উদ্দেশ্যগুলির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা।
বিচারপতি আরো বলেন, বাকস্বাধীনতাকে রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ হওয়া উচিত। আতঙ্ক ছড়িয়ে বা দমনপীড়নের মাধ্যমে এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে রাষ্ট্রের উচিত সেই চেষ্টার বিরোধিতা করা। মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধান রচয়িতারা হিন্দু বা মুসলিম ভারতের ভাবনাকে স্বীকার করেননি। কেবল প্রজাতান্ত্রিক ভারতের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাই আলাদা আলাদাভাবে হিন্দু ভারত বা মুসলিম ভারত বলে কিছু নেই। এই ধরনের চিন্তা করাও বোকামি। সূত্র : টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন