বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিটের শুনানি ফের শুরু

ফেলানী হত্যা মামলা

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

আবারও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলায় রিটের শুনানি। গত শুক্রবার বিচারপতি কে এম জোসেফের যৌথ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ মার্চ। ফেলানী হত্যার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়া হতাশ হয়েছিল ফেলানীর পরিবার। আবারও সুপ্রিমকোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছে ফেলানীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় ১৪ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। ঘটনাটি সারা বিশে^র গণমাধ্যমে তোলপাড় হয় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র নিন্দা করে এর বিচার দাবি করে। কিন্তু ভারতের সামরিক আদালত ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।
এরপর ২০১৫ সালের আগস্টে কলকাতার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ মাসুমের সম্পাদক কীরিটি রায়ের সহায়তায় ফেলানীর বাবা মো. নুর ইসলাম ফেলানী হত্যা মামলার রায় পুনঃবিবেচনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন। রিট আবেদনে বিবাদী করা হয় ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সিবিইর পরিচালককে। এতে ফেলানীর বাবাকে বাংলাদেশের পক্ষে সহায়তা করে আইন সালিশ কেন্দ্র ও ভারতের পক্ষে মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম জানান, আমার মেয়েকে বিনা অপরাধে ভারতীয় বিএসএফ-এর সদস্য অমীয় ঘোষ হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেল বিচার পাইনি। তবে নতুন করে শুনানি শুরু হওয়ায় আমি আশাবাদী ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ন্যয় বিচার করবে এবং তাড়াতাড়ি বিচার কাজ শেষ হবে।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউট এসএম আব্রাহাম লিঙ্কন জানান, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যাকান্ডের রিটের বিচারিক কাজ শুরু হওয়ায় তারা কিছুটা আশাবাদী। এবার মনে হচ্ছে ফেলানী হত্যার বিচার হবে। তিনি আরও বলেন, ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচারের রায় দ্রুত হলে উভয় দেশের সীমান্তের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Kowaj Ali khan ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৫৩ পিএম says : 0
এই নিরমম হত্যার জন্য অতি দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হোক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন