বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জামিয়ায় পুলিশের বর্বরতার আরও একটি ভিডিও প্রকাশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:১৭ পিএম

জামিয়া কাণ্ডে প্রকাশ হলো আরও একটি ভিডিও। নতুন এই ভিডিওতেও পুলিশি তাণ্ডবের ছবি স্পষ্ট। শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে বেধড়ক মারধরের ছবিও ধরা পড়েছে এতে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিচ্ছেন এক নিরাপত্তা কর্মী, সেই ছবিও রয়েছে নতুন ভিডিওতে। কিন্তু কেন আন্দোলনে যোগ না দেয়া লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করা নিরীহ শিক্ষার্থীদের এ ভাবে পেটানো হল, তার কোনও সদুত্তর নেই দিল্লি পুলিশের কাছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পুলিশি ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তার সপক্ষে এত দিন কার্যত তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবকে ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে রোববার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়। সেই ভিডিওতে লাইব্রেরির ভিতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর ও তাণ্ডবের ছবি সামনে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। পরে প্রকাশ্যে আসে প্রায় একই রকম একাধিক ভিডিও।

তার মধ্যেই আজ সোমবার আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এই ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে, ওই দিন ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিলেন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা। আগের দিনের ফুটেজ ছিল লাইব্রেরির স্টাডি রুমের ভিতরের। সোমবারের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা। শিক্ষার্থীরা একে একে বাইরে বার হচ্ছেন। কিন্তু সরু দরজা দিয়ে এক সঙ্গে অনেকে বেরোতে গিয়ে জটলা সৃষ্টি হচ্ছে। তখনই শুরু হয় মারধর।

বিশেষ করে ভিডিয়োর শেষ ২০ সেকেন্ড কার্যত ভয়ঙ্কর। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি হয়ে পড়ে আছেন। কেউ ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন। ওই অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের যাকে সামনে পাচ্ছেন, তাকেই নির্বিচারে লাঠিপেটা করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায়। তার পর এক নিরাপত্তা কর্মীকে দেখা যাচ্ছে, লাঠি দিয়ে সিসিক্যামেরা ভেঙে দিচ্ছেন।

রোববার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে আন্দোলনে যোগ দেননি, লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করছিলেন— এমন ছাত্র-ছাত্রীদের এই ভাবে নির্বিচারে লাঠিপেটা করার যুক্তি কী, তা নিয়ে প্রতিবাদ করেছে নানা মহল। সোমবারের ভিডিও সামনে আসার পর সেই প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে।

রোববার একাধিক ভিডিও সামনে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়েছিল দিল্লি পুলিশ। সব ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে আশ্বাস দিয়েছিল তদন্তের। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীন। ভিডিও সামনে আসার পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই ফুটেজের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে দিল্লি পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটেনি। নতুন এই ফুটেজ সামনে আসার পরে সেই অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সূত্র: টাইমস নাউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন