২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে যে জটিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি এখনও অচলাবস্থার মধ্যে রয়ে গেছে। চিফ এক্সিকিউটিভ (সিইও) আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী টিম ‘স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড পার্টনারশিপ’ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, ভোটের চুড়ান্ত ফলাফলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ‘পাতানো’ সিদ্ধান্তকে তারা গ্রহণ করবে না। কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহর প্রচারণা টিমের এক শীর্ষ সদস্য ফজল আহমাদ মানাওয়ি ভোট অডিট প্রক্রিয়ার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এই পদ্ধতি আইনের সম্প‚র্ণ পরিপন্থী। তার মতে, নির্বাচনী আইনে বিশেষ অডিট প্রক্রিয়ার কোন বিধান নেই। এই প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা জানিয়ে মানাওয়ি বলেন যে, ইনডিপেন্ডেন্ট ইলেকশান কমিশন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের অনুপস্থিতিতেই অডিট প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি আবারও অ-বায়োমেট্রিক ভোটগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেন যেগুলো নির্ধারিত সময়ের বাইরে ব্যবহার করা হয়েছে। “আমরা যে কোন নির্বাচনী কমিশনের ব্যাপারেই উদ্বিগ্ন কারণ আইইসি বেছে বেছে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে”। নির্বাচনী টিম সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, নির্বাচন কমিশন যদি তাদের আকাক্সক্ষা প‚রণ না করে, তাহলে চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে তারা নিজেদের সরিয়ে নেবে। মানাওয়ি আরও বলেন, “সামনে যে কোন সম্ভাব্য উপায় খোলা আছে। যদি পরিস্থিতি ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো পুনরাবৃত্তির দিকে যায়, তাহলে যে কোন পন্থায় আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো”। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ সময়ক্ষেপণের পর, আইইসি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করে, যেখানে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পঞ্চাশের কিছু বেশি ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু কিছু নির্বাচনী কর্মকর্তার মতে, ঘানি আর আব্দুল্লাহর মধ্যে পুনরায় নির্বাচন হতে পারে, কারণ আইইসিসি’র অডিটের পর হাজার হাজার ভোট অবৈধ ঘোষিত হতে পারে। এর আগে, আইইসিসি তিন লাখ ভোটের মধ্যে ১০ শতাংশ ভোট নিয়ে বিশেষ তদন্ত চালায়। আফগানিস্তান টাইমস, এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন