বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে দেশবাসী অন্ধকারেই আছে

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ অকস্মাৎ মিডিয়াতে ঝড় তুলেছে। এর কারণ, কয়েক দিন আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টেলিফোন করেছিলেন। কথাটি ওবায়দুল কাদের নিজেই প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, মানবিক কারণে বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়ে মির্জা ফখরুল তাকে টেলিফোন করেছিলেন। টেলিফোনে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করেন যে, বিএনপি যে মানবিক কারণে বেগম জিয়ার মুক্তি চাচ্ছে সেই বিষয়টি যেন ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন যে, বিএনপি মহাসচিবের অনুরোধ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন সেটি তিনি জানাননি। তিনি আরও বলেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে কথা বলেছেন। সাংবাদিকরা যখন এই টেলিফোন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে টেলিফোনে তিনি কী বলেছেন? উত্তরে মির্জা ফখরুল বিষয়টি এই বলে এড়িয়ে যান যে, আপনারা বরং বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করুন এবং তার কাছ থেকে জেনে নিন।

এর পর স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি ডালপালা বিস্তার করতে শুরু করে। ওবায়দুল কাদের বলেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তির দুটি পথ আছে। একটি হলো আইনী পথ। আর একটি হলো প্যারোল। আইনী পথে মুক্তি পেতে গেলে সেখানে সরকারের কিছুই করার নেই। কারণ বিষয়টি রাজনৈতিক নয়। তাই বিএনপিকে আদালতে যেতে হবে। প্যারোলের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্যারোলের লিখিত আবেদন পেলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে। কেন প্যারোল চাওয়া হচ্ছে, কোন যুক্তিতে চাওয়া হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় প্যারোলের দরখাস্তে থাকতে হবে। তিনি আরও জানান যে, এব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু তারা কেউ এখনো প্যারোলের দরখাস্ত পাননি।

অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে যে, বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে তাঁর পরিবার অর্থাৎ তার ভাই ও বোন এক রকম অবস্থান নিয়েছেন, আর তার দল বিএনপি অন্য রকম অবস্থান নিয়েছে। এসবই পত্র পত্রিকার নিজস্ব রিপোর্ট। বিএনপিও এব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলছে না। বিএনপির তরফ থেকে মির্জা ফখরুল বলছেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তারা চেষ্টার কোনো ত্রু টি করেননি। তারা নিয়মিত কোর্টে দৌড়াদৌড়ি করছেন। সভা-সমিতি-মানববন্ধন করছেন এবং এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখাও করেছেন। তারা সরকারকে জানিয়েছেন যে, বেগম জিয়া খুব অসুস্থ। এই কারণে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানো দরকার। অন্যথায় যে কোন মুহূর্তে তার ভয়াবহ কিছু ঘটে যেতে পারে।

অন্যদিকে এই রকম খবরে মিডিয়া রীতিমত মুখর যে পরিবারের তরফ থেকে বেগম জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কানদার পিজি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে নাকি একটি দরখাস্ত করেছেন। ঐ দরখাস্তে তিনি নাকি বলেছেন যে, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হোক। ঐ মেডিকেল বোর্ড যেন সুপারিশ করেন যে, বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য তার যে চিকিৎসার দরকার সেজন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। তারা এই সুপারিশ করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। সাঈদ ইস্কান্দারের দরখাস্ত নিয়েও অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি দরখাস্ত করলেই মেডিকেল বোর্ড ঐ রকম সুপারিশ করবে কেন? এই রকম সুপারিশ দুইটি কারণে করা হয়। একটি হলো, তিনি এমন গুরুতর অসুস্থ যার চিকিৎসা করার মতো অবস্থা পিজি হাসপাতালের নাই। এই রকম একটি সুপারিশ যদি মেডিকেল বোর্ড আদৌতেই দেয় তাহলে পরবর্তী পর্যায় কী হতে পারে? পরবর্তীতে যা হতে পারে সেটা হলো, পিজি হাসপাতাল যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আনতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবার সেটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারেন।

দুই

কিসের ভিত্তিতে সাঈদ ইস্কান্দারের বিশ্বাস হলো যে, মেডিকেল বোর্ড ঐ ধরনের একটি সুপারিশ করবে? কারণ ইতোপূর্বেও মেডিকেল বোর্ড একাধিকবার বলেছে যে, বেগম জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসাই দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁর যে অসুখ তার চিকিৎসা পিজি হাসপাতালেই হতে পারে। সাঈদ ইস্কান্দারের দরখাস্তের আর একটি কারণ হতে পারে। সেটি হলো, মেডিকেল বোর্ড এই রকম একটি সুপারিশ দিলে তারা জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবার যাবেন।
পর্দার অন্তরালে সরকারের সাথে কোনো সমঝোতা না হলে মেডিকেল বোর্ড এই রকম রিপোর্ট দেবে না। তাহলে কি সরকারের সাথে বিএনপির কোনো গোপন সমঝোতা হয়েছে? অথবা সমঝোতার লক্ষ্যে কোনো আলাপ-আলোচনা হচ্ছে? এব্যাপারে বিএনপি মোটেই ক্লিয়ার নয়। অনুরূপভাবে বেগম জিয়ার পরিবারও এ ব্যাপারটিকে অস্পষ্টতার আবরণে ঢেকে রেখেছেন। পর্দার অন্তরালে যদি কোনো সমঝোতা হয় অথবা সমঝোতার কোনো চেষ্টা হয় তাহলে সেটা হতে পারে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আলোচনা। কোনো কোনো পত্রিকা এমন রিপোর্টও দিয়েছে যে, প্যারোল প্রশ্নে বেগম জিয়ার পরিবার এবং দলের মধ্যে মতদ্বৈধতা চলছে। তার পরিবার চাচ্ছেন যে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আগে বেগম জিয়াকে বাঁচাতে হবে। এজন্য প্যারোলে হলেও তাকে মুক্ত করে বিদেশ পাঠাতে হবে।
অন্যদিকে দল মনে করছেন যে, প্যারোলে মুক্তি চাইতে হলে প্রথমে বেগম জিয়াকে দোষ স্বীকার করতে হবে। অর্থাৎ সরকার যে বলছে, বেগম জিয়া ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সেই কথাটি বেগম জিয়াকে স্বীকার করতে হবে। দোষ স্বীকার করেই তাকে প্যারোল চাইতে হবে। দল মনে করে যে, প্যারোলে মুক্তির জন্য বেগম জিয়া যদি তার দোষ স্বীকার করেন তাহলে দেশের অবিসংবাদিত নেত্রী হিসাবে বেগম জিয়ার যে ভাবমর্যাদা গড়ে উঠেছে সেটি মুহূর্তেই ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে। এর ফলে বেগম জিয়া এবং বিএনপি সকলেই রাজনৈতিকভাবে শেষ না হলেও তাদের প্রতি জনগণের প্রবল বিশ্বাস ও আস্থায় বিরাট ধ্বস নামবে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, রাজনৈতিক কারণে বেগম জিয়ার পুত্র এবং বিএনপির অস্থায়ী চেয়ারম্যান তারেক রহমান এতদিন প্যারোলের বিরোধিতা করে এসেছেন। কিন্তু এখন নাকি তার মায়ের জীবন-মরণের প্রশ্ন উঠেছে বলে তিনিও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন এবং প্যারোলের জন্য তার পরিবার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সেই প্রচেষ্টায় তিনি সম্মতি দিয়েছেন। সেই সম্মতির পর বেগম জিয়ার ছোট ভাই সাঈদ ইস্কানদার প্যারোল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে নাকি বলা হয়েছে যে, প্যারোল চাইতে হবে স্বয়ং বন্দিকে। অন্য কারো দরখাস্ত বিবেচনা করার সুযোগ নাই। এই কারণে সাঈদ ইস্কানদার নাকি প্যারোলের দরখাস্তটি জেলখানায় বেগম জিয়ার কাছে পাঠিয়েছেন। বেগম জিয়া সম্মতি দিলে দরখাস্তটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যাবে। তার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে।

বলা বাহুল্য, এসবই পত্র পত্রিকার নিজস্ব সংবাদ। বিএনপির তরফ থেকে এই ধরনের খবরকে সমর্থনও করা হয়নি অথবা তার প্রতিবাদও করা হয়নি। বেগম জিয়ার পরিবারের তরফ থেকে তার সাথে দেখা করে তার বোন সেলিমা রহমান বলেছেন যে, তার বোন গুরুতর অসুস্থ। তাই মানবিক কারণে তারা তাঁর মুক্তি চান। সেলিমা রহমান প্যারোল বা আদালত এসব নিয়ে কোনো কিছু বলেননি। আর সাঈদ ইস্কানদার তো এপর্যন্ত সাংবাদিকদের কাছে কিছুই বলেননি। সুতরাং এই দেশে বেগম জিয়ার হাজার হাজার বা লাখ লাখ নয়, কোটি কোটি সমর্থক সমগ্র বিষয় সম্পর্কে অন্ধকারেই আছেন।

তিন

দৈনিক ‘প্রথম আলো’র গত রবিবার সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় এসম্পর্কে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরের শিরোনাম, ‘খালেদা জিয়ার কারামুক্তি/সরকারের কাছ থেকে সাড়া পায়নি বিএনপি’। খবরে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগের দিন শুক্রবার সকালে মির্জা ফখরুল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য সরকারের সহায়তা চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেন। এ সম্পর্কে এই কলামের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

আমরা বুঝতে পারিনা যে, বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি অথবা তার পরিবার সরকারের নিকট থেকে কোন ধরনের সহায়তা চান? তার জামিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এখন তারা একটি রিভিউ পিটিশন করতে পারেন। ফলাফল একই হবে। কারণ ঐ রিভিউ পিটিশনও বিবেচনা করবেন আপিল বিভাগ। তাহলে বাঁকি থাকে দুটি পথ। এক, দোষ স্বীকার করে প্যারোল। দুই, আর সময় ক্ষেপণ না করে রাজপথে বিএনপির সমস্ত শক্তি নিয়ে নেমে পড়া। কিন্তু রাজপথে নেমে পড়তে গেলে রাজপথে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোকাবেলা করতে হবে। বিএনপির সমর্থক যতই থাকুক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী ক্যাডারদের মোকাবেলা করার সেই সাহস এবং সাংগঠনিক শক্তি দলটির আছে বলে মনে হয় না। তাই তাদের সামনে একমাত্র রাস্তা হলো প্যারোল। আর প্যারোল মানেই বিএনপির রাজনৈতিক অপমৃত্যু।

বিএনপির অপমৃত্যু হওয়া অথবা মুসলিম লীগের অবস্থায় পরিণত হওয়া শুধুমাত্র বেগম জিয়া বা বিএনপির ক্ষতি নয়, এটি সমগ্র দেশের ক্ষতি, রাজনীতির ক্ষতি এবং গণতন্ত্রের ক্ষতি একথা তো পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা যেমন বলেছে, তেমনি বাংলাদেশেও সেদিন ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের বিগত ১১ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক যাত্রা পথ থেকে একেবারে ইউটার্ন নিয়ে কর্তৃত্ববাদী (authoritarian) এবং সমূহবাদী (totalitarian) রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের সারা জীবনের সংগ্রামই ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা। কারণ পাকিস্তান কায়েমের পর থেকেই সেখানে চালু ছিল প্রথমে আমলাতান্ত্রিক স্বৈরাচার এবং তারপর সামরিক একনায়কতন্ত্র। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হলেও সাড়ে ৩ বছরের মাথায় বাকশাল তথা একদলীয় শাসন চালু হয়। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং এক ব্যক্তির স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালে জেনারেল মঈন উদ্দিনের প্রচ্ছন্ন সামরিকতন্ত্র কায়েম হয়।

২ বছর পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় বসলেও ২০১১ সাল থেকে আওয়ামী সরকার গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার বেতোয়াক্কা করে আসছে। দেশ আজ এমন অবস্থায় এসে পতিত হয়েছে, যেখানে নির্বাচন ব্যবস্থা পর্যন্ত নস্যাৎ হয়ে গেছে। আজ দেশে সাধারণ মানুষ আর ভোটও দিতে চায় না। কারণ মানুষ বুঝে গেছে ভোট দিলেও এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে, না দিলেও থাকবে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণ সম্পূর্ণ নির্ভর করেছিল বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপির ওপর। কিন্তু বিএনপি জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এটি আর কোনো সংগ্রামী দল নয়। দলটির সংগ্রামী স্পিরিট সম্পূর্ণ শেষ।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
গাজী ওসমান ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৩১ এএম says : 0
প্রতিহিংসার বন্দী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই দিতে হবে
Total Reply(0)
সুমাইয়া ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৩১ এএম says : 0
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই দিতে হবে
Total Reply(0)
Zahid Islam ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৩২ এএম says : 0
রাজপথ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় এই ............... সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে
Total Reply(0)
Samina Kabir ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৫০ এএম says : 0
Dear Begum Khaleda Zia, I love you and my prayer is always there for you
Total Reply(0)
Abu Suhel ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৫১ এএম says : 0
আপোষহীন নেত্রী,সাবেক প্রধানমন্ত্রী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(BNP)সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই!
Total Reply(0)
রকিবুল ইসলাম ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৫২ এএম says : 0
বিএনপি এখন একটা নাম সর্বস্ব দলে পরিণত হচ্ছে
Total Reply(0)
রুবেল ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৫৩ এএম says : 0
লেখাটি বাস্তব সম্মত। লেখককে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
M ismail Kabir Ahmed ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৯ পিএম says : 0
awamileger obostha bnp theke kharap hobe opekkai thakon
Total Reply(0)
jack ali ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:২৭ পিএম says : 0
One is the main quality of a human being is mercy--if you don't have mercy--you cannot be called human being..
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন