বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ম্যাচ বাঁচিয়ে ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চল

ইয়াসিরের জোড়া সেঞ্চুরিতে সঙ্গী উত্তরাঞ্চল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ফাইনালে খেলার জন্য বড় একটা সুযোগ ছিল মধ্যাঞ্চলের সামনে। কিন্তু তারা যে ম্যাচটা জিততে পারল না। গতকাল শেষদিন দারুণ ব্যাটিং করল দক্ষিণাঞ্চল। পুরোটা দিনজুড়েই ব্যাটিং করে গেল তারা। ম্যাচ জেতার জন্য ৫০৭ রানের প্রায় অসম্ভব টার্গেট ছিল তাদের সামনে। শেষদিন সেই টার্গেট কমে দাঁড়ায় ৩৪৮ রানে। হাতে জমা ছিল ৬ উইকেট। শেষের সেই ৬ উইকেটে পুরোটা দিন পার করে দিল দক্ষিণাঞ্চল। ১৪৪ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৮৬ রান তুলতেই দিনের খেলা শেষ। ম্যাচ ড্র। আর এই ম্যাচ ড্র রাখতে পেরে সবমিলিয়ে ১৯.৮৯ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় লিগের ফাইনালে উঠে গেল দক্ষিণাঞ্চল। দিনের অন্য ম্যাচে ৮ উইকেটে উত্তরাঞ্চলকে হারিয়ে এই লিগের সবচেয়ে বেশি ২৩.৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে নাম লেখাল প‚র্বাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করায় মধ্যাঞ্চলের পয়েন্ট গিয়ে পৌঁছাল ১১.৫। আর লিগে কোন ম্যাচ না জেতা উত্তরাঞ্চল মাত্র ৬.২২ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের তালিকায় চতুর্থ।

কক্সবাজারে দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের মধ্যকার শেষদিনে ম্যাচটি জমেছিল বেশ। জিততে হলে অসম্ভব টার্গেটের পেছনে ছুটতে হবে, তাই সেই চেষ্টার পথে না হেঁটে ম্যাচটা ড্র করার পরিকল্পনা নেয় দক্ষিণাঞ্চল। আর সেই পরিকল্পনায় সফলের নায়ক শামসুর রহমান, নাসুম আহমেদ, ফরহাদ রেজা । এমনকি ২৬ বল খেলে অপরাজিত ১ রান করা শফিউল ইসলামের কৃতিত্বও কম নয়। শামসুর রহমান ২৩০ বল খেলে করেন ১৩৩ রান। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাসুম আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ২৪৬ বলের ধৈর্য্যশীল ৮৫ রান। দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত ব্যাট করেন নাসুম। ৮৫ রান করে নাসুম যখন আউট হন তখনো দলের বিপদ কাটেনি। দিনের ১২ ওভারের মতো খেলা তখনো বাকি। দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক আউট হতেই বিপদ আরো বাড়লো। কিন্তু ফরহাদ রেজা ও শফিউল ইসলাম শেষের ১০ ওভারে অপরাজিত জুটি গড়ে দলের হার বাঁচান। ম্যাচ ড্র হয়। আর এই ড্র’য়েই কপাল পুড়ল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের।

কক্সবাজারে অন্য ম্যাচে শেষদিন জয়ের জন্য ২১১ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে উত্তরাঞ্চল সহজেই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয়। প্রথম ইনিংসে ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল শ‚ন্য রানে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৬ বলে ঝলমলে ৭০ রানের ইনিংস। তবে ম্যাচ জয়ের আসল নায়ক ইয়াসির আলী। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটা দারুণভাবে জোড়া সেঞ্চুরি দিয়ে উদযাপন করলেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট হেসেছিল ১৬৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮৮ বলে করলেন ১১০ রান। ৩৪.৫ ওভারেই ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় উত্তরাঞ্চল।

আগামী ২২ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিএলের ফাইনালে লড়বে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল। বিসিবি আগেই জানিয়েছে ফাইনাল ম্যাচটি হবে পাঁচদিনের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
মধ্যাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, কক্সবাজার একাডেমি
মধ্যাঞ্চল : ৮২.২ ওভারে ২৩৫ ও ২য় ইনিংস : ১০৭ ওভারে ৩৮৫/৮ ডিক্লে.। দক্ষিণাঞ্চল : ২৮.২ ওভারে ১১৪/৪ ডিক্লে. ও ২য় ইনিংস : (আগের দিন ১৫৯/৪) (শুভ ১৩৩, নাসুম ৮৫, সোহান ৮, মেহেদি ৪, ফরহাদ রেজা ২৭*, রাজ্জাক ৪, শফিউল ১*; ইরফান ০/১৬, মুস্তাফিজ ১/৪৮, মিরাজ ৪/১৩৬, আরাফাত সানি ১/১১৮, শুভাগতভ ৩/৫৯, সাইফ ০/২)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা : নাসুম আহমেদ।

উত্তরাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল, কক্সবাজার
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৭২ ও ২য় ইনিংস : ১২০.৩ ওভারে ২৬৯ (জুনায়েদ ৩৬, নাঈম ৩৫, মুশফিক ৩৮, অঙ্কন ৪৪, সানজামুল ২৪, সঞ্জিত ৩৬*; হাসান ১/৫৭, নাঈম ৫/১০১, সাকলাইন ২/৫৮, রাহাতুল ১/৬)। প‚র্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৩৩১ ও ২য় ইনিংস : ৩৪.৫ ওভারে ২১১/২ (লক্ষ্য ২১১) (আশরাফুল ৭০*, ইয়াসির ১১০, ইমরুল ১৭; সানজামুল ১/৬১, মুশফিক ০/১৭)। ফল : প‚র্বাঞ্চল ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন