বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যা যা দরকার খুঁজে নাও?

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে লাভক্ষতি নিয়ে অধ্যাপক সিকান্দার খান বিজেপি নেতাদের ঘৃণা-তাচ্ছিল্যে বন্ধুত্ব দৃঢ় হয় না : অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ সিকান্দার খান ভারতে বিজেপি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের লাভালাভ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা নিজেদেরকে পুরোপুরি সমর্পণ করে দিয়েছি। দেশটাকে ওদের (ভারত) হাতে মেলে ধরেছি। ভাবখানা এমন যে, এবার তোমার যা যা দরকার খুঁজে খুঁজে নাও? বিনিময়ে কানাকড়ি তো পাইনি। বরং অযাচিত বড় বড় কথা আজ শুনতে হচ্ছে।

যেমন- নরেন্দ্র মোদির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডিরা বলেন, ভারত নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের অর্ধেক নাকি খালি হয়ে যাবে! গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসে প্রকাশিত দেশটির সিনিয়র সাংবাদিক-লেখক করণ থাপর এবং গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের সুপ্রাচীন দৈনিক আজাদীতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ-কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলামের উপ-সম্পাদকীয় কলামের সুত্র ধরে দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধির আলাপ হয় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ সিকান্দার খানের সঙ্গে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারতকে মুক্তহস্তে এতোকিছু দিয়েছি ঠিকই। অথচ ওদের সাথে দর কষাকষি করার মতো অবস্থায় আমরা নেই। দেশের জ্ঞানী-গুণী-পন্ডিত দাবিদার ব্যক্তিরা সবাই কিন্তু এসব বিষয়ে ভালোভাবেই জানেন এবং বোঝেন। কিন্তু মুখ খোলেন না। ভারতের বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আর এরপরই মোদির সাথে সুর মিলিয়ে পরিস্থিতি না বুঝেই আমাদের মন্ত্রীরাও সেই একই কথাই আওড়াতে থাকলেন (বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ নেই)। বাস্তবে তো ভারতেরই অনেক নাগরিক এদেশে আছে। আরও আসছে। তার সমাধান কী? সরকার কী এসব বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে?

এদিকে ভারতীয় লেখক-সাংবাদিক করণ থাপর গত শনিবার দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র হিন্দুস্থান টাইমসে মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছেন- ভারতের বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি বলেছেন, ভারত নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের অর্ধেকটা খালি হয়ে যাবে। নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিলে অর্ধেক বাংলাদেশি ভারতে চলে আসবে। এছাড়া তিনি ছিলেন অতিশয় কূটনীতিবিরোধী ও আক্রমণাত্মক। রেড্ডি এটাও প্রকাশ করেন, তিনি বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানেন না। সবচেয়ে বাজে বিষয়টা হলো তার জানাই নেই, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই ভালো করছে। জীবনযাত্রার মানের দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে তো বটেই।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার যে গতিতে হচ্ছে আমরা ভারতে তা নিয়ে শুধু হিংসাই করতে পারি। বড়জোড় এ আশা করতে পারি, আগামী দুই তিন বছর পর হয়তো সেদিকে যেতেও পারি। প্রবৃদ্ধিতে ভারত যেখানে পাঁচ শতাংশেরও নিচে নেমেছে, বাংলাদেশ সেখানে আট শতাংশের দৌড়ে আছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ হচ্ছে সেই দুটি দেশের একটি, যেটি বিনিয়োগের গন্তব্য। এরফলে লন্ডন-নিউইয়র্কের রাস্তাগুলো এখন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে সয়লাব। অথচ লুধিয়ানা-তিরপুরে তৈরি পোশাক মিলে খুবই কম। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ডাবল ডিজিটে বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে ভারতের বেলায় দ্রুত কমছে।

অর্থনৈতিক কার্যক্রম হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান পার্থক্যের মাত্র একাংশ। অন্য গল্পটি আরও বড়। বাংলাদেশের জীবনযাত্রা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় চোখে পড়ে। বাংলাদেশে পুরুষ ও নারীর প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭১ ও ৭৪। ভারতে তা ৬৭ ও ৭০ বছর। এ চিত্র বিশ্লেষণ করলে পার্থক্যটি আরও প্রকট হয়েই ওঠে।

এদিকে শিশুদের পরিস্থিতি তুলে ধরলে ভারতে প্রতি ১০ হাজার জন্মের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যুহার ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর বাংলাদেশে তা ১৭ দশমিক ১২ ভাগ। নারীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সের ৭১ শতাংশ নারী শিক্ষিত। অথচ ভারতে তা ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বাংলাদেশে নারী শ্রমিকের হার ৩০ শতাংশ। যা দিন দিন বাড়ছে। আর ভারতে ২৩ শতাংশ, যা গত এক দশকে আট শতাংশ কমে গেছে। সবশেষে ছেলে-মেয়েদের হাইস্কুলে ভর্তির অনুপাত, যা থেকে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ধারণা পাওয়া যায়। এটি ভারতে শূন্য দশমিক ৯৪ ভাগ। আর বাংলাদেশে ১ দশমিক ১৪। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের জিনিসপত্রের গুণগত মান শুধু ভালোই নয়, ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। আমরা পিছিয়ে পড়ছি।
কাজেই এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন যখন বললেন, কিছু ভারতীয় নাগরিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তিনি সম্ভবত ঠিক। মানুষ জীবনে উন্নতির জন্যই অভিবাসিত হয়। আর বাংলাদেশের জীবনযাত্রা নিশ্চিতভাবে আরও ভালো বলেই মনে হয়।
যদি ভারতীয় মুসলমান হিসেবে গণপিটুনির ঝুঁকিতে থাকেন, কারণ আপনি গোশতের ব্যবসা করেন, প্রেম-জিহাদে অভিযুক্ত, কারণ কোনো হিন্দুর প্রেমে পড়েছেন, অথবা আপনার নাগরিকত্ব হারানোর ভয় আছে- সে ক্ষেত্রে সহজেই এ অঞ্চলে পাড়ি দিতে প্রলুুব্ধ হতে পারেন।

আমি এখানে যে পরিসংখ্যানগুলোর উদ্ধৃতি দিয়েছি সে অনুসারে, ভারতের বৈধ নাগরিক হওয়ার চেয়ে বাংলাদেশে ‘উইপোকা’ হওয়াই বেশি আকর্ষণীয়। আরেকটা বিষয় হলো, কেউ রেড্ডিকে বলা উচিত, যুক্তরাষ্ট্র যদি নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলে ভারতের অর্ধেকই সেদেশে চলে যাবে। আসলে এটি আরও বেশি হবে।
সত্যি কথা বলতে কী, আমি দোষ দেই হেনরি কিসিঞ্জারকে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ি’ বলেছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশ তেমনটি হয়তো ছিল। টেলিভিশনে একের পর এক বন্যার ছবি এ চরিত্রায়ণেরই নিশ্চয়তা দিতো। কাজেই ওই বর্ণনা থাকছেই। তবে আজকের বাংলাদেশ অন্যরকম এক দেশ।


বিদ্বেষপূর্ণ বাক্যবাণে সরকার নীরব কেন - ড. মইনুল ইসলাম
‘বিজেপি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বাক্যবাণ ছুঁড়ছে। –সরকার নীরব কেন’? এই শিরোনামে গতকাল চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয় কলামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, আওয়ামী লীগ ঘরানার বুদ্ধিজীবী-লেখক-কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম লিখেছেন, ভারতের কট্টর দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ঐ দলের জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা বাংলাদেশ সম্পর্কে বক্তব্য প্রদানের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে অহেতুক বাংলাদেশকে হেয় করার উদ্দেশ্যে চরম অপমানজনক বাক্যবাণ নিক্ষেপ করে চলেছেন। যেগুলো শুনে আমাদের মাথায় রক্ত চড়ে যাচ্ছে। অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার ঘোষণা করেছেন যে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গেছে।

২০১৮ সালে ভারতীয় তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন,‘সাবচে’ পহেলে বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখার প্রাণান্তকর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন, যা প্রশংসনীয় হলেও বিজেপি’ নেতা-পাতিনেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বাংলাদেশ-বিদ্বেষী বাক্যবাণ বিনা প্রতিবাদে হজম করার মানসিকতাকে আমি নতজানু দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক অভিহিত করতে চাই। বাংলাদেশ ভারতের কাছে এতখানি নতজানু হওয়ার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না আমি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলাদেশ ভারতের কাছে অসহায় অবস্থানে নেই যে, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী শাসক দলের নেতা-পাতিনেতাদের বেলাগাম আক্রমণ, অপমানজনক বাক্যবাণ ও তাচ্ছিল্য এবং বিজেপি’র নানাবিধ মুসলিম-বিদ্বেষী কর্মকান্ডকে বিনা প্রতিবাদে মেনে নিতে হবে!

বাংলাদেশ-বিদ্বেষী বক্তব্য প্রদানের চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যিনি কিছুদিন আগেও বিজেপি’র সভাপতি ছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাগরেদ এই অমিত শাহকে মোদীর ‘পয়েন্টসম্যান’ মনে করা হয়। মানে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন থাকায় যেসব বক্তব্য বা মন্তব্য মোদীর জন্যে স্পর্শকাতর হতে পারে সেগুলো অমিত শাহের মুখ দিয়ে বলিয়ে নেয়া হয় বলে ভারতের ওয়াকিবহাল মহলের দৃঢ় বিশ্বাস। অতএব অমিত শাহের মুখ-নিঃসৃত বাংলাদেশের চরিত্র-হননকারী বক্তব্যগুলো নরেন্দ্র মোদীর অজ্ঞাতসারে বা অগোচরে প্রদত্ত হচ্ছে মনে করার কোন কারণ নেই। ভারতে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেনশিপ (এনআরসি) আইন পাসের পরিপ্রেক্ষিতে আসামে এনআরসি প্রণয়নের পর অমিত শাহ বললেন, এনআরসি’তে স্থান না পাওয়া সবাইকে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

অন্যদিকে আসামের অর্থমন্ত্রী আরেক বিজেপি-পাতিনেতা আরো এককাঠি সরেস। তিনি আস্ফালন দিলেন এনআরসি’তে নাম না থাকলে সবাইকে ‘লাথি মেরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে’। অথচ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরবর্তীতে নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করলেন যে এনআরসি প্রণয়নের ফলে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না। এটা সম্পূর্ণভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। একদিকে নরেন্দ্র মোদীর এই আশ্বাস, আর অন্যদিকে মোদীর দলের অন্য নেতাদের এই বেলাগাম বাংলাদেশ-বিদ্বেষী বাক-সন্ত্রাস গত দুই বছরে বেড়েই চলেছে।

নরেন্দ্র মোদি বুঝতে পেরেছেন, হিন্দুত্ববাদী চরম দক্ষিণপন্থী রাজনীতির আফিম এখন ভারতীয়দের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে প্রবলভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির চরম বাংলাদেশ-বিদ্বেষী আরেকটি মন্তব্য- ‘ভারত নাগরিকত্ব দিলে বাংলাদেশ খালি হয়ে যাবে’। এগুলো অর্ধ-মূর্খ মানুষের মনের মধ্যে পুষে রাখা ধর্মান্ধতা ও গোমরাহির বিষ ঝাড়ার ঘটনা হলেও আমি মনে করি নীরবে এই ‘হেইট ক্যাম্পেইন’ হজম করা বাংলাদেশ সরকারের সমীচীন হচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশ যে এখন আর ‘তলাবিহীন ভিক্ষার ঝুলি’ নেই এই খবরটা বিজেপি’র এসব গন্ডমূর্খদেরকে পৌঁছে দেওয়া সময়ের দাবি। জাতির আত্মসম্মানবোধকে আঘাতকারী এসব মন্তব্য অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আদৌ বজায় রাখার প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে দেখা দরকার। একটা বাস্তবতা এখনো হয়তো বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোজগতে দৃঢ়মূল হয়নি যে আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কোন ক্ষেত্রেই ভারতের করুণার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের অর্থনীতি এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে।

আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ভারতের ‘আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী’ দাদাগিরি যদি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশকে কোমর সোজা করে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ ভারতে যাওয়ার জন্যে গাঁটরী-বোচকা বেঁধে দিন গুণছে বলে যেসব বিজেপি নেতা এখনো আস্ফালন করছেন তাদের মুখে লাগাম টানার জন্য নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবি জানানো প্রয়োজন। ভারতের সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব নিশ্চয়ই চাই আমরা। কিন্তু বন্ধুত্ব হয় দুই সম-মর্যাদাসম্পন্ন প্রতিবেশীর মধ্যে। পরস্পরের প্রতি সম্মান ও ভালবাসার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, তাচ্ছিল্য ও বিদ্বেষ যদি বিজেপি নেতাদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকে তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে ভারতের জনগণের বন্ধুত্ব বিজেপি’র আমলে কখনোই দৃঢ়মূল হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
গাজী ওসমান ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০০ এএম says : 0
ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে তারা ভয় পায়
Total Reply(0)
এনায়েত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০১ এএম says : 0
এই সরকার শুধু ভারতকে দিয়েই যাচ্ছে ....................
Total Reply(0)
পারভেজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০১ এএম says : 0
ভারতের কাছ থেকে কোন স্বার্থ আদায় করার ক্ষমতা তাদের নেই
Total Reply(0)
তামান্না ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০২ এএম says : 0
ড. মইনুল ইসলামকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
রকিবুল ইসলাম ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০৩ এএম says : 0
আশা করি সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের মাথায় কিছু আছে তারা প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ সিকান্দার খান সাহেবের কথাগুলো নিয়ে ভাববেন
Total Reply(0)
সাইফুল ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৫৫ এএম says : 0
আসলে আমরা সরকারকে যত দোষ দেইনা কেন মুলত সব দোষ আমাদের সকলেরই এতে অংশীদার কারনঃ ১। আমরা জানি ভারতের নিতি কিন্তু আমারাই ভারতীয় পণ্যটা আগে কিনি। যার জন্যে সকরার আমাদেরকে বাধ্যকরেনা। ২। জাতীয় প্রশ্নে আমরা দলাদলি ত্যাগ করতে পারিনা। ৩। দল আর দলীয় প্রধানকে তোষামদিই এক মাত্র লক্ষ সেটা ভুল হোক কিংবা সঠিক ৪। প্রচলিত রাজনৈতিক বিভক্তি, এর সাথে যুক্ত হচ্ছে ইসলামিক দলাদলির বিভক্তি, (যে বিভক্তির আগুনে পুড়ে পাকিস্থান ছাই হয়েছে) বর্তমানে আমরা এখন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ভগে বিভক্ত সুতরাং ভারত কেন বর্তমানে বার্মা ও যদি আমাদের উপর হামলা করে আর লুটে নেয়া তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই তারা পারবেও এদেশকে নিয়ে এখনও শপ্ন দেখী কারন আল্লাহর রমতের উপর বিশ্বাস করি এবং তাঁর আস্রয় কামনা করি।
Total Reply(0)
Md.Alamgir Hossain ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:২৯ এএম says : 0
Thanks
Total Reply(0)
habib ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫৯ এএম says : 0
Bangladesh ki ............ ..........ar hate nirapod?
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৯ পিএম says : 0
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক ভিষন। পররাষ্ট্র নীতির কুটনৈতিক বিচক্ষন অদুর দর্ষিতায় তলাবিহীন ঝূড়ি আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তির দ্ধার প্রান্তে। আকাশ বিজয় সমুদ্র বিজয় উন্নয়ন অগ্রগতি অনেক গুলো সূচকে বাংলাদেশ ভারতের কাজ হতে এগিয়ে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের রাজনৈতিক সংগ্রামী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের একজন দক্ষিণ এশিয়ার লৌহ ইস্পাদ মানবী। আবার মানবজাতির কল‍্যানকামী নেতৃত্বে বিশ্ব সমাজে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট সম্মান মানবতার মা জননী আরও অনেক আন্তর্জাতিক পুরুষ্কার সম্মান। কোন প্রসংশা সম্মানের অনেক উদ্ধে। ভারতের এনআরসি অনেক উস্কানিতে ও বাংলাদেশের কুটনৈতিক দক্ষতা শান্ত সৃষ্ট রাজনৈতিক জওয়াব দিতে শুরু করেছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রভাবশালী মন্ত্রী নিদ্ধারীত সুচিতে ভারতে যাননি। এটি কতবড় কুটনৈতিক জওয়াব? দাদাবাবুদের রাজনৈতিক কৌশল উক্তেজনা পুন‍্য বিভিন্ন বক্তব্য তান্ডা মাথায় দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষ ভারতে যান বেড়াতে বিয়ের শাড়ী প্রসাধনী কিনতে। স্বাস্থবিষয়ক সেবা নিতে। বিনোদনের জন‍্য হিন্দি প্লিম ভারতীয় আর্বজনা প্রতিদিনকারের নৃত্য সঙ্গী। যা যা দরকার খুজে নাও এর শিরোনামে। এটি আসা উচিত ছিল? বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সুভাগ‍্যবান জাতি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মত একজন মহান ব‍্যাক্তিত্বের মত নেতা পেয়েছেন। স্বাধীনতার অর্ধশতাদ্বীর পর এই রকম নেতা বাংলার জমিনে পায়নী আগামী শতাদ্বীর পর শতাব্দীর অপেক্ষা করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মত একজন নেতা পাবেন না। বিশ্বের প্রতিযোগিতার রাজনৈতিক কৌশলে বঙ্গবন্ধুর শহীদি পরিবারের রক্তের গঙ্গাই প্রবাহিত বাংলাদেশের রাজসিংহাশনে থাকুক দেশের জন‍্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন