কাশ্মীর নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ ভারত এর প্রতিবাদ জানাতে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। গতকাল সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণলয় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত শাকির ওজকান তলুনারকে ডেকে পাঠায়।
কাশ্মীর নিয়ে এরদোয়ানের মন্তব্য দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গুরুতর প্রভাব ফেলবে বলে ভারত সতর্ক করেছে। এতে বলা হয়েছে, এরদোগানের অমন মন্তব্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কাশ্মীর বিরোধের ইতিহাস না জেনে বুঝেই এরদোয়ান মন্তব্য করেছেন বলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত তুলনারকে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে পাকিস্তান সফরের সময় বলেছিলেন, ভারতের একতরফা পদক্ষেপের কারণে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তুরস্ক কাশ্মীরের জনগণের পাশে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরদোয়ানের এ মন্তব্যেই ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তুরস্কের নাক গলানোর আরেকটি উদাহরণ। এ ধরনের মন্তব্য ভারতের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান সফর করেন এরদোগান। এ সময় তিনি দখলীকৃত কাশ্মীরের অবনতিশীল পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বলেন, সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর কারণ, নয়া দিল্লি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই অঞ্চলের বিষয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত। সেখানকার স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে আনা হয়। তাদের এই উদ্যাগের তীব্র বিরোধিতা করে পাকিস্তান ও কিছু মুসলিম দেশ। এর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া। তারা ভারতের ওই পদক্ষেপকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানায়। এর প্রতিশোধ নিতে মালয়েশিয়া থেকে পামওয়েলের আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা তুরস্ক থেকেও আমদানি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এসব ঘটনা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলছে। এখানে উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এরদোগান বলেছেন, চাপ দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এর সমাধান করতে হবে বিচারিক ও সুষ্ঠুতার মধ্য দিয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন