ভোলার দৌলতখানে অটোরিকশা থেকে ডেকে নিয়ে মুখ বেঁধে একটি ক্লিনিকের কর্মী ২ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলার দৌলতখানের হালিমা খাতুন কলেজ ক্যাম্পাসে। পুলিশ এ ঘটনায় রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র ও অটোচালক গিয়াস উদ্দিন জানান, ২ সন্তানের জননী ৩৫ বছরের এক নারী ভোলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করেন। প্রায় ৯ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা যান। ক্লিনিকে চাকরি করেই তিনি সন্তানদের নিয়ে সংসার চালান। প্রতিদিনের মতো ক্লিনিকের কাজ শেষ করে রাতে একটি অটোরিকশা করে দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত প্রায় সাড়ে ৯টার সময় দৌলতখানের হালিমা খাতুন কলেজের সামনে অটোচালককে দিয়ে সন্তানদের জন্য বিস্কুট ও চিপস কিনছিলো। এ সময় ২ যুবক অটোরিকশা থেকে ওই নারীকে কথা আছে বলে ডেকে কলেজের ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। প্রায় আধাঘণ্টা পর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অটোচালক তাকে জামাকাপড় ছেড়া অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নির্যাতিত ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাত ১২টার পর হাসপাতালে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, তিনি ২ যুবককে চিনতে পেরেছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম রাব্বি চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
দৌলতখান থানা পুলিশ জানায়, ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী তারা ইতোমধ্যেই ২ যুবককে সনাক্ত করতে পেরেছেন। তারা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, রাতে তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে আটক করেছেন। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন