বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেচাবিক্রির ধুম

অমর একুশে বইমেলা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

দিন যত যাচ্ছে বইমেলায় বইপ্রেমীদের আনাগোনা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ভিড়। শুরুর দিকে দর্শনাথীরা মেলায় ঘুরতে এলেও নতুন নতুন বইপ্রকাশের সাথে সাথে এখন বেচাবিক্রির ধুম পড়েছে। গত বছরের তুলনায় মেলা প্রাঙ্গণ বড় করার পরও ঠাঁই মিলছে না পাঠকের। প্রতিটি প্রকাশনীতে ছিল পছন্দের বই কেনার ভিড়। বসন্ত-ভালোবাসার আবেশ শেষ হয়ে গেলেও পাঠকের কাটতি নেই। বিকাল থেকে রাত অবধি বইপ্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে মুখর। আশাব্যঞ্জক বেচাবিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে বিস্তর পরিকল্পনা নিয়ে বইমেলা সাজানো হয়েছে। দুই পাশে দুটি ফুডকোর্ট, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিসের শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানামুখী কার্যক্রম বেশ ভালো লেগেছে বইপ্রেমীদের। ঢাবি শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, বছরের এই একটা মাসের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এবারের বইমেলার স্তরবিন্যাস ও সাজসজ্জা খুবই চমৎকার হয়েছে। খুঁজে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আর বসার জায়গা রয়েছে প্রচুর। এটা খুব ভালো একটা দিক। বিক্রয়কর্মী গিয়াস উদ্দিন খান বলেন, মেলায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। প্রায় সবাই ক্রেতা হয়ে উঠছেন। বেশ ভালো ল²ণ।
এদিকে একাডেমি কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমে খুশি আগতরা। তাদের তৎপরতায় এত ভিড়ের মধ্যেও ধুুলোর খুব একটা প্রকোপ নেই। কারণ মেলা শুরু হওয়ার আগেই ওয়াসা থেকে পানি ছিটানো হয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার রাখছে মেলা প্রাঙ্গণ। সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত নাবিল বলেন, ছুটির দিনে ভিড় বেশি থাকে। মেলার মাঝামাঝি সময়টাতে সব ধরনের নতুন বই এসে পৌঁছায় স্টলে স্টলে। সরকারি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারই বইমেলায় আসি। সরকারি চাকরি করার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়। তবুও আসি। বিশেষ করে মেলার মাঝামাঝি সময়টাতেই আসার চেষ্টা করি। সন্তানদেরও বই এবং বইমেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।ইত্যাদি প্রকাশনীর প্রকাশক আদিত্য অন্তর বলেন, এমন দিনে বেচাবিক্রির যে অনুমান করা হয়, তা চেয়ে ভালো বিক্রি হচ্ছে।
সাংবাদিক আবু আলীর ভ্রমন বিষয়ক বই মেঘ পাহাড়ের আলিঙ্গন: অমর একুশ বইমেলায় সাংবাদিক আবু আলীর ভ্রমণ বিষয়ক বই ‘মেঘ পাহাড়ের আলিঙ্গণ’ গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে। তবে গ্রন্থটি শুধুমাত্র একটি ভ্রমণ বৃত্তান্ত নয়-তার চেয়েও অধিক। গ্রন্থটির পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় বিধৃত রয়েছে বাংলাদেশ এবং পাশ্ববর্তী ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোর ভ্রমণ সংক্রান্ত চিত্তাকর্ষক তথ্য এবং সুচারু চিত্রাবলী। আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর বিশদ তথ্যপঞ্জী সন্নিবেশিত হয়েছে বইটিতে। বিশেষ করে তন্ত্রমন্ত্রের কামরূপ কামাখ্যার চিত্র, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন। এছাড়া মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি, মারলিং ভিলেজ, লাইভ রুট ব্রিজ, সেভেন সিস্টার ফলসসহ আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রের তথ্য ও চিত্র তুলে ধরেছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র স্বর্ণমন্দির, বিছানাকান্দি, জাফলং, কুয়াকাটা, হার্ড পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রের বর্ণনাও দিয়েছেন। লেখক বইটিতে স্বল্পখরচে কিভাবে দেশ-বিদেশ ভ্রমন করা যায় তা তুল ধরেছেন তার স্বকীয় ভাষা এবং তার প্রাঞ্জলতার মাধ্যমে। বই প্রকাশ করেছেন জ্যোতিপ্রকাশ। বইমেলায় বাংলা একাডেমির মূল চত্তরের গোল্ডেন বাংলাদেশ (৭৯) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (১০২), ম্যাগনাম ওপাস (৩৯৮) নম্বর স্টলে। বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা। তবে মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ২৫ শতাংশ কমিশনে। এছাড়াাও বইটি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলার নজরুল একাডেমীর স্টলেও পাওয়া যাচ্ছে।##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন