মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘তাহলে আমরা ভালো স্পিনার নই’

অভিমানি তাইজুলের ‘ঠোঁট কাটা’ জবাব

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

নিজের কাজটা সবসময় করে যান মনোযোগ দিয়ে। পাদপ্রদীপের আলো কখনও খুব একটা স্পর্শ করে না তাকে। বাকপটু না হলেও কথা বলায় কখনো বিরক্তি প্রকাশ করেন না। সেই তাইজুল ইসলামকেও গতকাল আবিষ্কার করা গেল অন্যরূপে। সহজ কথারও মানে তার কাছে গেল ভিন্নভাবে। উত্তর দিতে গিয়েও যেন কিছুটা অভিমানী বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার।

সর্বশেষ ছয় টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে পাঁচটাই আবার ইনিংস হার। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছন্দে নেই, পেসাররা চিরকালই সেরা অস্ত্র নন। কিন্তু একমাত্র স্পিনারদের শক্তিতেই সাদা পোশাকে লড়াই করত বাংলাদেশ। সেই স্পিনারদের পারফরম্যান্সও আশা জাগানিয়া নয়। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। প্রথমেই টেস্ট। সাকিব আল হাসান ছাড়া বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের ভার তাইজুলের ঘাড়েই। সেই দায়িত্বে তিনি কতটা অবদান রাখতে পারছেন। তাইজুলকে তা মনে করিয়ে দিতেই অভিমানের সুরে দিলেন উত্তর, ‘যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে আমরা এখন যারা স্পিনার আছি তারা ভালো স্পিনার না। সাকিব ভাইয়ের মতো না, এটাই সত্যি। সাকিব ভাই থাকলে যেহেতু ভালো হতো এখন যেহেতু হচ্ছে না তাহলে আমরা ভালো না। এইটাই আমার উত্তর।’

তাইজুল খেদ বুকে পুষে জানান, তারা মানসম্পন্ন বোলার না বলেই আসছে না সেরা ফল, ‘ওই মানের খেলোয়াড় আসতে হবে (ভাল ফলের জন্য)। এখন নাই ওই মানের খেলোয়াড়। এটাই তো। ওই মানের স্পিনার আসলে হইনি বলে ফল হচ্ছে না।’

২৮ টেস্টে ৩৩.৪৬ গড়ে তাইজুল নিয়েছেন ১০৮ উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছেন ৫ টেস্ট ২১.১১ গড়েই তার ৩৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এই দলের বিপক্ষে অভিষেকে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে আবার কি তেতে উঠার বারুদ পাচ্ছেন? এই কথাতেও আপত্তি তাইজুলের, মনে করিয়ে দিলেন কেবল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তিনি ভালো খেলেন, ব্যাপারটা এমন না, ‘এ কথাটা আসলে ভালো লাগল না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুধু উইকেট পেয়েছি তেমনটা তো আর না। আরও অনেক দলের সঙ্গে খেলে উইকেট পেয়েছি। আপনি যাদের বিপক্ষেই খেলেন। ভালো জায়গায় বল না করলে কখনোই সাফল্য পাবেন না। ওরা তো একেবারে খারাপ দল তাও কিন্তু না। ভালো জায়গায় বল না করলে শাসন করবেই। ভালো জায়গায় বোলিং করলে অনেক সুযোগ আসবে, উইকেটও আসবে। যেটা দলের জন্য ভালো। এই আর কি।’
সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে দেশের বাইরে তিনটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর কোনোটিতেই খুব একটা ভালো করতে পারেননি স্পিনাররা। অভিমান করেই বললেন, সাকিব মানের কেউ না এলে তার অভাব প‚রণ করা সম্ভব নয়, ‘যদি (স্পিনারদের কার্যকারিতা কম) হয়ে থাকে তাহলে আমরা এখন যারা স্পিনার আছি তারা ভালো স্পিনার না। সাকিব ভাইয়ের মতো না। এটাই সত্যি। সাকিব ভাই থাকলে যেহেতু ভালো হতো এখন যেহেতু হচ্ছে না তাহলে আমরা ভালো না। আর এর উত্তর আমার কাছে নেই। ওই মানের খেলোয়াড় আসতে হবে। এখন নাই ওই মানের খেলোয়াড়। এটাই তো...এই কারণেই পেসার নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানি না... বললাম তো ওই মানের স্পিনার আসলে হইনি বলে রেজাল্ট হচ্ছে না।’

দেশে তাইজুল-মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম হাসানদের রেকর্ড দারুণ। ত্রয়ীর মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তাইজুল জানান, দেশের মাটিতে খেলার সময় বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে তাদের মধ্যে, ‘দেশে যখন খেলা হয়, একটু নিজের কাছে অন্যরকম লাগে। ভালো করব কিংবা ভালো করার অনুভ‚তিটা থাকে আর কি। আমার কাছে মনে হয়, ভালো করাটাই আসলে স্বাভাবিক।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন