চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাবাসীর জন্যে ভয়াল ১৯ ফেব্রুয়ারি আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মতলবগামী এমভি মহারাজ লঞ্চ কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা নামক স্থানে উল্টে নিমজ্জিত হয়। এ ট্রাজেডির ১৫ বছর পূর্ণ হলো আজ।
দুর্ঘটনায় প্রায় দু’শতাধিক বিভিন্ন বয়সী শিশু-নারী ও পুরুষ প্রাণ হারায়। লঞ্চটিতে মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার যাত্রী ছিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না থেমে নেই আজও। মতলববাসীর জন্যে আজকের দিনটি হচ্ছে শোকাবহ এক স্মরণীয় দিন। বছর শেষে এ দিনটি ফিরে এলে মনে পড়ে যায় প্রিয়জনদের কথা।
দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, তার কন্যা মতলব কচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার, আইসিডিডিআরবির ডাঃ মোঃ মাসুম, দগরপুর গ্রামের প্রকৌশলী ফারুক দেওয়ান, মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির কর্মকর্তা ফারুক দেওয়ানসহ পরিবারবর্গ, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু শিকদার, ঘাসিরচর গ্রামের আবু হানিফ, পাঠানচক গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, বাদল হোসেন, মধ্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু মুন্সি, দর্গাপুর গ্রামের সুমন মিয়া প্রমুখ।
আর যেসব লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি তাদের ছবি তুলে বেওয়ারিশ হিসেবে মতলব দক্ষিণ ঢাকিরগাঁও রিয়াজুল জান্নাত কবরস্থানে দাফন করা হয়। বেওয়ারিশ লাশের কবরের পাশে দূর-দূরান্ত থেকে এসে স্বজনদের কবর জিয়ারত ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
মিলাদ, মাহফিল, দোয়া ও শোকসভার মাধ্যমে এ দিনটিকে স্মরণ করে রাখেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতের মাগফেরাত কামনায় আজ মতলবের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন