শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করাচিতে অজ্ঞাত বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে, ১৪ জনের প্রাণহানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৮ পিএম

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচির একটি এলাকায় অজ্ঞাত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এ গ্যাসের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। দেশটির সরকার গ্যাসের বিষক্রিয়ার কোনও কূল-কিনারা করতে না পারায় করাচির কিয়ামারি এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।

কয়েক দিন ধরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লেও এর উৎস খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির ফেডারেল ও প্রাদেশিক পরিষদের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। এ নিয়ে একে অপরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। রোববার প্রথমবারের মতো করাচির কিয়ামারি এলাকায় রহস্যময় এ গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এর একদিন পর সামান্য বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা গুরুতর আকার ধারণ করে। এ সময় নারী, শিশুসহ অনেকেই সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলী শাহের কাছে দেয়া প্রতিবেদনে বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব বলেছেন, গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডন জানায়, রোববার রাতে গ্যাসের লাইনে ছিদ্র হয়। এরপরই আবাসিক এলাকাটিতে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ডক্টর জিয়াউদ্দিন হাসপাতালের চিকিৎসক আমির শেহজাদ ডনকে বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আমাদের হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আর একই দুর্ঘটনায় আহত আরো ২ জন কুতিয়ানা হাসপাতালে মারা গেছেন বলে পুলিশ আমাদের জানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে অর্থাৎ গত দুই দিন ধরে জিয়াউদ্দিন হাসপাতালে প্রায় ২৫০ জনকে চিকিৎসা দিতে আনা হয়। শুধু সোমবারই ১০০ জন ভর্তি হয়। তারা সবাই বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। এদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে গুরুতর পাঁচজনকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

রহস্যময় এ গ্যাসের উৎস শনাক্ত এবং ছড়িয়ে পড়ার কারণ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এমনকি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো বিশেষজ্ঞরাও এই গ্যাসের উৎস বের করতে সক্ষম হয়নি।

এ সঙ্কটের জন্য সয়াবিনের ডাস্টের ভূমিকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্স। অন্যদিকে সিন্ধ প্রদেশের পরিবেশ কর্তৃপক্ষের সহায়তা বেসরকারি একটি সংস্থার অনুসন্ধানে ওই এলাকার বাতাসে মাতাতিরিক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড ও নাইট্রিক অক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে।

কিয়ামারি রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা ও বিক্ষোভকারী জামাল খান বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। এরকম আধুনিক যুগে এসে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ ও উৎস শনাক্ত করতে না পারার জন্য আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা আসলেই কাজ করছে নাকি সত্য লুকানোর চেষ্টা করছে?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন