সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরেও বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার ‘প্রোভিশন ২’। সব ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ ঠেকাতে দেশের প্রধান ২ বিমানবন্দর শাহজালাল, শাহ আমানতের পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর আসলো অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার ‘প্রোভিশন ২’ এর আওতায়।
গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপনের জন্য আনা অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানারটি পরীক্ষামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান গণমাধ্যমকে জানান, জাইকার অর্থায়নে ঢাকার শাহজালাল, সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ স্ক্যানারটি স্থাপন করা হচ্ছে। এ স্ক্যানারটিতে প্রবেশ করলেই একজন যাত্রীর জামাকাপড় বা শরীরের ভেতর লুকিয়ে রাখা যেকোনো ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া মেটালিক, নন-মেটালিক, উয়েপন্স, স্ট্যান্ডার্ড ও হোম মেড বিস্ফোরক (শিট ও বাল্ক), লিকুইডস, জেলস, প্লাস্টিকস, পাউডারস, সিরামিক এতে ধরা পড়বে। একজন যাত্রীকে স্ক্যান করতে সময় লাগবে দেড়-দুই সেকেন্ড।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পলাশ আহমেদ নামে এক যাত্রী পিস্তল ব্যবহার করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই ফ্লাইটের উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। পরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর এক কমান্ডো অভিযানে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ছিনতাই চেষ্টার সে পিস্তল ছিল খেলনার। এছাড়া অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও ফুলসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ হোসেনের পিস্তল ধরতে না পারার ঘটনার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন