শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

 

নদী ভরাট বন্ধ করুন
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইছামতী, কর্ণফুলী ছাড়াও অসংখ্য ছোট-বড় নদী আছে। এসব নদী আস্তে আস্তে মানুষের দখলের কারণে মরে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালি গ্রামে অবস্থিত সোনাই নদীটি মরতে বসেছে। মানুষ প্রতিনিয়ত এই নদীতে তাদের নিত্যব্যবহূত ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। কেউ কেউ নদীতে বেড়া দিয়ে ঘিরে নিজেদের দখলে আনছে। নদী বাঁচলে জেলে বাঁচবে; বাঁচবে সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশ। অনেকে আবার বালু ফেলে ভরাটও করছে। তাই সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে নদীর ওপর অপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করে- এই প্রত্যাশা।
মো. ওসমান গনি শুভ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

বিলুপ্তপ্রায় পাখি বাঁচান
প্রকৃতির অলঙ্কার পাখি। অথচ পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। গত ১০০ বছরে ১৯ প্রজাতির পাখি হারিয়ে গেছে। বহু প্রজাতির পাখি হুমকির মুখে। পাখি বিলুপ্তির কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, গাছপালা কেটে ফেলা, অবাধে সার ও কীটনাশক ব্যবহার ইত্যাদি। দোয়েল, কোয়েল, টুনটুনি, বুলবুলি, ফিঙ্গে, প্রিনা, চড়ুই- ছোট আকারের যত পাখি আছে, এদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। দাগি বাবুই এখন আর দেখা যায় না। হিল ময়না বিলুপ্তির পথে। লালচে প্রিনাও দেখা যায় না তেমন। প্রথমেই দরকার বিলুপ্তির মুখে থাকা পাখির একটি তালিকা করা। দেশে অনেক বিশ্বমানের খাঁচার পাখি উৎপাদনকারী আছেন। তাদেরকে কিছু সংখ্যক বিলুপ্তপ্রায় পাখি দেওয়া হোক। তারা খাঁচায় ওইসব পাখি উৎপাদন করবেন। অস্ট্রেলিয়ায় গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। বন থেকে গোল্ডিয়ান এনে ব্রিডারদের দিলে তারা অসংখ্য গোল্ডিয়ান উৎপাদন করে। চীনে পান্ডার সংখ্যা কমে এলে সরকার ২৫০০ কোটি টাকা এ খাতে বরাদ্দ দেয়। অথচ স্বাধীনতার পর এতদিনে দেশে একটি পাখি রিসার্চ সেন্টার হয়নি। খাঁচার পাখিতে নীরব বিপ্লব হচ্ছে। তাই তালিকা করে বিলুপ্তপ্রায় পাখি ব্রিড করার বিকল্প নেই।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
মিরপুর-১২, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন