বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার পুনর্বিবেচনা করা হবে

সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হারের বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হবে। এ সময় অর্থমন্ত্রী আগামীতে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোরও ইঙ্গিত দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও বেশি। দেখি এটা নিয়েও কিছু করতে পারি কি না। গতকাল সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক পরিপত্রে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার অর্ধেকে নামিয়ে সরকারি ব্যাংকের সুদের হারের সমপর্যায়ে নিয়ে আসে।

অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, ডাকঘরে চারভাবে টাকা রাখা যায়। ডাকঘর থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাব খোলা যায়। আবার ডাক জীবন বিমাও করা যায়।
এবার সুদের হার কমেছে ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাবে। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ যে নির্দেশনা জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, ৩ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার হবে ৬ শতাংশ, যা এত দিন ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ছিলো। মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য সুদ মিলবে ৫ শতাংশ, আগে যা ছিলো ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। দুই বছরের ক্ষেত্রে তা সাড়ে ৫ শতাংশ, আগে যা ছিলো ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

ডাকঘর স্কিমের সুদ হার সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে, তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে। এ বিষয় নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করবো। এখন হয়তো কিছু করতে পারবো না, আগামী বাজেটের মধ্যে এটি নিয়ে কিছু করা হবে।

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার কমানোর কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এর আগে যখন সঞ্চয় বিক্রির ওপর কিছু নিয়মকানুন চালু করলাম। তারপর দেখতে পেলাম সমাজের সেই অংশ যারা ৬-৭ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতো, তারা সবাই ডাকঘরে চলে গেল।

আগামীতে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানোর ঈঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু এগুলোতে বড় ধরনের অপব্যবহার হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও বেশি। দেখি এটা নিয়েও কিছু করতে পারি কি না। সঞ্চয়পত্র নিয়ে দেশে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমরা তো এগুলো চাইনি।

ব্যাংকের সুদের হার প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে ব্যাংকে টাকা রাখলে এত বেশি সুদ দেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে এক জায়গায় যেতে না পারলেও কাছাকাছি যাওয়া যাবে। সরকারকে কর না দিয়ে সব (মুনাফা) নিয়ে যাওয়ার উদাহরণ খুব বেশি দেশে নেই। ব্যাংক খাতে সুদের হার এক অঙ্কে নিয়ে আসাটা অনেক বড় কাজ। এটা করতে গেলে সম্পর্কিত সব উপকরণে হাত দিতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মানুষ সুদ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এভাবে ব্যাংকে টাকা রাখলে সুদ দেয়া হয় না, উল্টো টাকা দিতে হয়। যে দেশে ব্যবসা আছে, সে দেশে ব্যাংকে টাকা রাখে না। আমাদের কাছে সবাই সমান, ব্যবসায়ীদের কার্যকর সুদে টাকা দিতে হবে এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি। না হলে ব্যবসা প্রসার হবে না ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে না।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
মোঃ শফিকুর রহমান ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
আগের টা বহাল চাই
Total Reply(0)
Feroz Ahmed ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
দ্রুতই বিবেচনা করবেন মাননীয় অর্থ মন্ত্রী মহোদয়। কারণ এখানে যারা টাকা রাখে তারা নিতান্তই সংসারের অভাব অনটন যুক্ত ফেমেলী। এই টাকার লভ্যাংশ দিয়ে তারা সংসার চালিয়ে থাকেন। আমি নিজের চোখে দেখেছি পোষ্ট অফিসে টাকা জমা দেয়া উত্তোলন করা কত কষ্ট। শুধু দুটু পয়সা বেশী পাবে এই আশায় মধ্যবিত্ত মানুষ এখানে টাকা রাখে। সরকার মহোদয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন এই বিশ্বাস রাখি।
Total Reply(0)
Zinnatul Fardous ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
সাধারণ জনগনের উপর কেনো এই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।। তিল তিল করে জমানো টাকার উপর ১২.৫০%পার্সেন্ট থেকে কমাতে কমাতে এখন এপ্রিল থেকে ৬%এ আনা হবে।। সাধারন জনগনের সঙ্গে সরকার কেনো এমন নিষ্ঠুর ব্যাবহার করছেন।। অর্থমন্ত্রী বারবার বলছেন দেশে টাকার অভাব নেই ।। তবে কেনো আমানতের উপর সুদ কমানো হচ্ছে।। অথচ যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়ে পরিশোধ করছেন না সেই চোরদের খেলাপী ঋণের সুদের হার কমানো হচ্ছে।। কেনো এই বৈষম্য তা সরকার করছেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।। আশা রাখছি সবাই এ ব্যাপারে সবাই এক মত হবেন।। খেলাপী ঋন আদায় হলে সরকার লাভবান হবেন।। আবার ব্যাঙ্ক লুটেরা রা ঋন নিবে তাঁরা লাভবান হবেন।। এটা একটা সরকার আর ঋন খেলাপী দের লুকোচুরি খেলা।। সাধারণ জনগনের পেটে লাথি মারা।।
Total Reply(0)
Mintu Nath ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
ডাকঘর থাকছেনা, ডাকঘরের নামে সঞ্চয় থাকার কাজ কি।
Total Reply(0)
Sonali Sakal ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
No need. You have need anything.Do that.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন