মিয়ানমারে শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকরাই মূলত ক্রমবর্ধমান সংঘাতের শিকার হচ্ছেন এবং যেসব স্থানে এখন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে, সেসব স্থানেই সংঘাতের মাত্রা অত্যন্ত ভয়াবহ বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা জানান। শিশুরা আহত ও নিহত হচ্ছে এমন বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। -ইউসিএ
জাতিসংঘ কর্মীদের দাবি, তাদের কাছে আসা প্রতিবেদনে এই সংঘর্ষে ভারী অস্ত্র ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাখাইন এবং রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে ভারী অস্ত্র ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেছেন তারা।
প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা বলেন, এখন পর্যন্ত ১০জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। এরমধ্যে কমপক্ষে ৩ জন রোহিঙ্গা, বাকিরা রাখাইন। আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। এরমধ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি স্কুলে আর্টিলারি গোলার আঘাতে আহত হয়েছে ২১ শিশু। তারা সকলেই খুমি সম্প্রদায়ের সদস্য।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ দিনে ১১০০ ব্যক্তি বাস্তুহারা হয়েছেন। এরমধ্যে একটি গ্রামেরই রয়েছেন ৬০০জন।
বুধবার আরেক হামলায় ৭ রোহিঙ্গা আহত হন। এরমধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলে মারা যান। আরেক কিশোর রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নেয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনী উভয়েই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছেন। যার শিকার হচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন