মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হাজীগঞ্জে বিয়ে বাড়ির খাবার এতিমখানায়

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০৪ পিএম

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বাড়ির খাবার গেল এতিমখানায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধের পর বর পক্ষের জন্য তৈরি করা খাবার এতিমখানায় পাঠানো হয়।
সোমবার দুপুরে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া। উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড়-নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় বরযাত্রীসহ মেহমানদের জন্য রান্নাকৃত খাবার স্থানীয় লাওকরা হযরত আমানত শাহ ও শাহেনশাহ (রহ:) হাফিজিয়া মাদরাসায় বিতরণ করা হয়। বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া ছাত্রী ইছাপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে।

জানা গেছে, এ দিন দুপুরে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বর যাত্রী আসার আগেই বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হন ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। তিনি মেয়েটির শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে সম্প্রতি নেয়া নতুন একটি জন্মনিবন্ধন দেখান তার আত্মীয়-স্বজনরা।
পরে ছাত্রীর বাবা-মা বাড়ীতে উপস্থিত নেই বলে তারা (আত্মীয়-স্বজন) শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। এতে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় বিয়ে বাড়ীতে অবস্থান করেন ইউএনও।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ছাত্রীর বাবা দোষ স্বীকার করেন এবং ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করে মুচলেকা দেন ।
এর আগে বিয়ের খাবার স্থানীয় মাদরাসায় এবং মেয়ের বাবাকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। মেয়েটির পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ উপস্থিত লোকজনকে বাল্যবিবাহের কুফল ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বিষয়ে অবহিত করেন তিনি।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল, থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমিজ উদ্দিনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন