শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

মন্দার বাজারে মোটামুটি বীর

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৭ এএম

এ বছর শাকিব খানের প্রথম সিনেমা বীর মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। পরিচালক কাজী হায়াতের ৫০তম সিনেমা এটি। মুক্তির আগে সিনেমাটি নিয়ে যেরকম আলোচনা হয়েছিল, মুক্তির প্রথম দিন সে আলোচনা অনেকটা সার্থকই হয়েছিল। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি এসে তা ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে। ৮০টি সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির ব্যবসা ক্রমেই নিম্নগামী। শুক্রবার প্রতিটি সিনেমা হলে দর্শক উপস্থিতি ভাল থাকলেও শনিবার থেকে তাতে ভাটার টান ধরেছে। মূলত মুক্তির আগের আলোচনার রেশ ছিল শুক্রবার ও শনিবার। তারপরই দর্শক সংখ্যা কমতে থাকে। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারছে না। যদিও সিনেমাটির মুক্তির দিন থেকেই ফেসবুকে শাকিব ভক্তরা হিট-সুপারহিট বলে দাবি করছেন। তবে তা ভক্তের আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বাস্তবতার সাথে তার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সিনেমার লগ্নিকৃত অর্থ উঠে আসার আশা করা গেলেও সুপার ব্যবসা করার সম্ভাবনা ক্রমেই তিরোহিত হচ্ছে। তবে শাকিবের নিজস্ব দর্শক সিনেমাটি দেখতে গেলেও সব শ্রেণীর দর্শক টানতে তা ব্যর্থ হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সিনেমা হল মালিকের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দুটি শাখায় বীর দেখাচ্ছি। বসুন্ধরা সিটি ও সীমান্ত সম্ভারে। দুই শাখায়ই ছুটির দুদিনে (শুক্র ও শনিবার) ভালো চলছে সিনেমাটি। এরপর থেকে দর্শক কমতে শুরু করে। তবে আশার কথা হলো অনেক দিন পর বাংলা সিনেমা চালিয়ে বেশ দর্শক পাওয়া গেছে। অন্য সিনেমাগুলোর তুলনায় বীর দর্শক টেনেছে, তবে তা সুপার ব্যবসা করার মতো নয়। বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড-এর ম্যানেজার এস এম শাহীন জানান, আমাদের হলে কমার্শিয়াল সিনেমা একটু কম চলে। আশপাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, সিটি কলেজসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার শিক্ষার্থীরা আমাদের হলের বিরাট অংশের দর্শক। তারা সাধারণ শাকিব খান বা হিরো প্রধান সিনেমা খুব একটা দেখেন না। তাদের আগ্রহ থাকে গল্পপ্রধান সিনেমার দিকে। তবে বীর শুক্রবার কিছু দর্শক টেনেছিল। এরপর অবস্থা ভালো নয়। অবশ্য যশোরের মনিহার সিনেমা হলের দায়িত্বে থাকা মোল্লা ফারুক আহমেদ বলেছেন, আমাদের এখানে শাকিব খানের সিনেমা ভালো চলে। এটিও চলছে। তবে শাকিবের অন্যান্য সিনেমার মতো হয়নি। শুক্রবার ভালো গেছে। এরপর থেকে দর্শক নেই। বীরের দুর্বলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতটুকু মনে হলো গল্পটি ঠিকমতো বলা হয়নি। গল্পে নতুনত্বও নেই। সেই ছোটবেলায় নায়কের স্বজন হারানো, বড় হয়ে তার প্রতিশোধ নেয়ার দৌড়ঝাঁপ। কাজী হায়াৎ সংলাপ ভালো লিখেন। এখানেও ভালো সংলাপ আছে। কিন্তু সিনেমাটি ঝকঝকে হয়নি। দর্শক এখন টেকনিক্যালি আপডেট সিনেমা দেখতে চায়। শাকিব খানের সিনেমা বলে কিছু দর্শক পাচ্ছি। ঢাকার মধুমতি সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, সিনেমাটির দর্শক রোববার থেকে কমে গেছে। তবে বছরের অন্যান্য সিনেমার তুলনায় ভালো যাচ্ছে। সিনেমাটি রোমান্টিক হলে আরও বেশি দর্শক পেতাম। নারী দর্শক কম আসছে এবার। কারণ এটিঅ্যাকশননির্ভর। নারী দর্শক পারিবারিক ও রোমান্টিক সিনেমা দেখতে চায়। এদিকে প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম সপ্তাহের চাহিদার ওপর নির্ভর করছে দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমাটি কত হলে মুক্তি পাবে। মন্দা বাজারে শাকিব খানের নামটার জন্য যে কজন দর্শক মেলে তাকেই সিনেমা ব্যবসার জন্য আপাতত স্বস্তি বলে মনে করছেন হল মালিকরা। এ বিবেচনায় সিনেমাটি হিট বা সুপারহিটের তালিকায় না গেলেও বছরের প্রথম সিনেমা হিসেবে হল মালিকদের কিছুটা খুশি করতে পেরেছে বীর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন