যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় হয়, ক্যাম্পাসে ভিসিপন্থী হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর এই হামলা করে। এতে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আরাফাত সুজন, মাহমুদুল হাসান সাকিব ও মুনিরুল ইসলাম হৃদয়কে যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেললে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যবিপ্রবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ। তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি শুরু করি। দুপুরে আন্দোলন তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়। আর রাতে বহিরাগত আজিজ ও রাসেল পারভেজ, কামরুল হাসান সিহাব, ইব্রাহীম, বিপুল ইমনসহ বেশ কয়েকজন আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার মতো ঘটনা ঘটেছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। উচ্চ আদালত যাদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ ব্যয় করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে এই মামলা পরিচালনার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের টাকা ব্যয় না করতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। আর এ কারণে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই শিক্ষার্থীকে আজীবনসহ ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা অবিলম্বে ভিসি আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগ দাবি করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন