বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফোন পেয়েই ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

তুরাগ দখলমুক্ত অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৭ এএম

সব ধরণের বাধা উপেক্ষা করে নদী উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও নদী উদ্ধারে কাউকে ছাড়া না দেয়ার কথা বলেছেন। অথচ বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারছে না অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)। গতকাল বৃহস্পতিবার টঙ্গীতে তুরাগ নদ দখলমুক্ত করার সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে চলমান অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডবিøউটিএ। বেলা সোয়া ১টায় তুরাগের আশুলিয়া পাড়ের ধৌড় এলাকা থেকে অভিযান বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার বিরুলিয়া এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডবিøউটিএ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। আশুলিয়ার ধৌড় এলাকায় নিশাত জুট মিলস ও হোসেন ডাইং ফ্যাক্টরীর দখলে থাকা নদীর জায়গা উদ্ধার করতে গেলে দখলকারীদের পক্ষে বাধা দেয়া হয়। এরপর তুরাগের প্রায় আড়াই একর জমি দখল করে থাকা শারমিন গ্রæপের বালুর স্তুপ অপসারণ করতে গেলে ফের বাধার মুখে পড়ে উচ্ছেদকারীরা। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইলে একটা ফোন আসে। ওই ফোনে কথা বলার পর ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দিয়ে ফিরে যান।
উচ্ছেদকারী কর্মকর্তারা জানান, আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকার পর গত ১৮ দিন পার হয়ে গেলেও অজানা কারণে তুরাগের টঙ্গি পারের নিশাত জুট মিল ও হোসেন ডাইং উচ্ছেদ করতে দেয়া হয়নি তাদের। একজন কর্মকর্তা বলেন, বার বার উচ্ছেদে বাধা আসায় আমরা অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। উচ্ছেদকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, একই দাগের অন্য দখল করা স্থাপনা উচ্ছেদ করা গেলেও প্রভাবশালীদের দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদ করতে গেলে নানাভাবে বাধা আসছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের শেষ দিনের মতো গতকাল তুরাগ নদের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা বিরূলিয়া অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডবিøউটিএ। সকাল দশটায় অভিযান শুরু হওয়ার পর শারমিন গ্রæপের বালুমহাল উচ্ছেদ করতে গিয়ে অভিযান ১১টার দিকে বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা একটার দিকে ১০ মিনিট অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় বিআইডবিøউটিএ। এর আগে আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে বিরূলিয়া পর্যন্ত দুটি বালুর গদিসহ প্রায় ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ঢাকা নদী বন্দরের আওতাভুক্ত তিনটি নদীর আশপাশের বিপুল সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা অবমুক্ত করেছে বিআইডবিøউটিএ। এখন সীমানা পিলারের ভেতরে যে সকল বালি ও মাটি রয়েছে সেগুলো সরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে অবমুক্ত করা হচ্ছে। এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানায় বিআইডবিøউটিএ। কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে উচ্ছেদ অভিযান বার বার থেমে যাওয়ায় বিআইডবিøউটিএ-এর অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উচ্ছেদের শিকার দখলদাররা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, প্রভাবশালীদের ছাড় দেয়া হলে আমাদেরকে কেন দেয়া হলো না। এজন্য অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Lukman Chowdhury ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
Phone from....?
Total Reply(0)
Jamil Hosen Jon ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
ধুর...লোক দেখানো ভাষনের কোন দাম আছে নাকি.? কেও ফোন দিলো আর চলে গেলো এগুলো নাটক কি এ জাতি বোঝেনা..?
Total Reply(0)
Masudur Rahmam ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
মামা কল দিসে.
Total Reply(0)
Md Masud Parvez ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
উচ্ছেদকারী কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার, কারন যখন এই ভবনগুলো তৈরি হচ্ছিলো তখন কেন তারা কোন পদক্ষেপ নেইনি। এখন উচ্ছেদ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সাথে সাথে সম্পদ, সময়, পরিবেশ দূষণ, ভোগান্তি আছে। বড় বড় চোর বাটপারদের কিছু করতে পারে, পারে শুধু গরীবের পেটে লাথি মারতে।
Total Reply(0)
Rahman Al Rabbi ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
আদালতের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা আদালত অবমাননার সামিল । তাই ঐ সব ফোন কল কারীদের আইনের সোপর্দ করা হোক । আর আদালত থেকে স্থগিতাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোন ফোনের তোয়াক্কা না কোরে কাজ চালিয়ে যাওয়া হোক ।
Total Reply(0)
Habibur Shikdar ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
না আইনের আওতায় আনতে পারবেন না, আর পারলেও কোন ভাল ফল পাবেন না ।তার চেয়ে অপেক্ষা করেন এখন উচ্ছেদ হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি মনাদের গুলো পরে যদি কোন দিন বিএনপি ক্ষমতায় বসে তখন উচ্ছেদ হবে আওয়ামি এবং আওয়ামি মনাদের স্থাপনাগুলো ।
Total Reply(0)
Saiful Islam Rony ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
তুরাগের পাশে যে জমি গুলো আছে এই গুলো সব মালিকানা জমি,আর এস,বি এস সব রেকর্ড খারিজ সব আছে মালিকদের ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন
Total Reply(0)
Md Mahfuz ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
যাদের উচ্ছেদ করেছে তাদের কাছে আপনারা অপরাধী না? তারা দূর্বল তাই তাদেরকে ক্ষমতা দেখালেন!! এই কান খুলে শুনে নিন আইন সবার জন্য সমান! আইনের উর্ধ্বে কেউ না!! আপনি/আপনারাও না!!
Total Reply(0)
parvez ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:০৯ এএম says : 0
আক্কল থাকলে যাবার আগে তিনি ফোন দাতার নাম বলে যেতে পারতেন। তাহলে উনি জনগণের কাছে দায় মুক্ত থাকতেন। উনার ব্যক্তিত্ব নিয়ে আমরা হাসি মসকরা করতাম না। দেখবেন , দুর্বলদের ওপর উনি চোটপাটে ওস্তাদ।
Total Reply(0)
Md Habib ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৩৭ এএম says : 0
যদি দুর্বল কোন ব্যক্তি তাকে বাধা দিত তাহলে দেখতেন তার ম্যাজিস্ট্রেটগিরি আর এখন উপর থেকে ফোন আসায় কে ফোন দিল তার নামটাও প্রকাশের সাহস পেল না তারপরেও দেখবেন একদল এলিয়েন বলবে কেউ অন্যায় করে ছাড় পাবে না আইন সবার জন্য সমান এরা কেমনে মুখ দিয়ে এই কথা বলতে পারে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন