বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রামগতিতে হুমকির মুখে শস্য ভান্ডার অবৈধ ইটভাটায় বিলীন বৃক্ষরাজি

আমানত উল্যাহ, রামগতি (লক্ষ্মীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৮ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা। এতে করে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্যভান্ডার হাইব্রিড ফসল সয়াবিনের মাদারল্যান্ড রামগতি।
জানা যায়, সুবিধাভোগীরা ফসলি জমি টার্গেট করে উপজেলার আবাদী জমির উর্বর মাটি গিলে খাচ্ছে এসব অবৈধ ইটভাটা। এসএমবি, এএবি, এফএনবি, এএসআরবিসহ ১৬টি অবৈধ ইটভাটা। সেই মাটি খেকোদের লুলুপ দৃষ্টিতে কৃষকের প্রাণের প্রিয় তিন ফসলী ক্ষেতের টপসয়েল ইটভাটায় চলে যাওয়ার ফলে কৃষিতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন বিজ্ঞজনরা। অবৈধ ইটভাটার রসদ ও মালামাল আনা নেয়া বা ইট পরিবহনে ব্যবহার হচ্ছে পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকারক অবৈধ উদ্ভট যানবাহন কেরকাট্রলি বা ট্রাক্টর ট্রলি। এ অবৈধ যানের কারণে গ্রামীণ সড়ক এবং পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে।
অবাধে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতারমত অবৈধভাবে কোন ধরনের আইন কানুন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যথাযথ কর্তৃৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই পুরনোগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে স্থাপন হচ্ছে নতুন নতুন ইটভাটা। সরকার এ সমস্ত আদিম পদ্ধতির ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করলেও এখানে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তা বৈধ। প্রতিবছর নকল কাগজ তৈরি করে ভাটা মালিকরা উচ্চ আদালতের অনুমোদনের নাম ভাঙিয়ে যুগযুগ ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ ইটভাটা। সরকার লাকড়ি নিষিদ্ধ করে কয়লার ব্যবহারের নীতিমালা করলেও আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এ সকল অবৈধ ইটভাটায় বেআইনী স’মিল বসিয়ে গাছের গুড়ি কেটে ভাটায় পোড়াচ্ছে কাঠ। প্রতিটি ভাটায় রয়েছে বিশাল বিশাল লাকড়ির পাহাড়। বৃক্ষরাজি কেটে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে অন্যদিকে তাদের বেআইনী চিমনির কারণে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে গ্রামের পর গ্রাম। নিয়ম হচ্ছে চিমনির উচ্চতা হবে ১২০ ফুট। বাস্তবে অনেক ভাটার চিমনীর উচ্চতা ৫০ ফুটের কম। ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বনবিভাগের ছাড়পত্রসহ ইট পোড়ানো লাইসেন্স ব্যাতিরকে এসকল অবৈধ ইটভাটায় ইট তৈরিতে মাপে কম দেয়া ছাড়াও করছে নিম্নমানের ইট উৎপাদন। এ ইট দিয়ে টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে স্বংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান।
ব্রিকফিল্ড মালিক আলাউদ্দিন মাল জানান, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে ফিল্ড চালাই।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোয়াখালী উপ-পরিচালক মো. ছেরাজুল ইসলাম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ভাটা স্থাপন করতে পারেনা। আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করবো। অবৈধ ইটভাটাগুলো ভেঙে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন জানান, ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধ ইটভাটা চলতে দেয়া হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন