চলতি বছরের নভেম্বরে নাইজেরিয়া বিমান বাহিনী (এনএএফ) পাকিস্তান ও চীনের যৌথভাবে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার জঙ্গিবিমানের চালান গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এছাড়া ২০২২ সালে এ-২৯ সুপার টুনাকো টার্বোপ্রপ বিমান গ্রহণ করবে। দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০৭৯ জন নতুন রিক্রুটের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এনএএফ প্রধান এয়ার মার্শাল সাদিক আবুবকর এ কথা জানান। তিনি বলেন যে, গত সাড়ে চার বছরে ফেডারেল সরকার এনএএফ অপারেশনের জন্য নজিরবিহীন সংখ্যক এয়ারক্রাফট কিনেছে। ফলে এয়ারক্রাফট ব্যহারের হার ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ৩৫% থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮২%-এ দাঁড়িয়েছে। এয়ারক্রাফট মেনটেইনেন্স অ্যান্ড টেকনিশিয়ানদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও নতুন এয়ারক্রাফট সংগ্রহের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এনএএফ ২২টি এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করেছে। এগুলো এখন অপারেশনে রয়েছে। আবুবকর জানান, এনএএফ এখন জেএফ-১৭ থান্ডার সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়া এ-২৯ সুপার টুকানো লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফটও আসছে।
গত জানুয়ারিতে অনলাইনে পোস্ট দেয়া ছবিতে দেখা যায়, নাইজেরিয়াকে সরবরাহ করার জন্য পাকিস্তানে জেএফ-১৭ থান্ডারগুলো প্রায় প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে দেশটি তিনটি থান্ডার পাচ্ছে। তবে পাকিস্তানকে আরো অর্ডার দেবে বলে মনে হয়। নাইজেরিয়ার বহরে বর্তমানে পুরনো এফ-৭এনআই বিমান রয়েছে। পাকিস্তান থেকে সুপার মুশাক প্রশিক্ষণ বিমানও কিনেছে নাইজেরিয়া। চলতি মাসের গোড়ার দিকে নাইজেরিয়া তিনটি নতুন এয়ারক্রাফট বাহিনীতে যুক্ত করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইটালির তৈরি দুটি এডব্লিউ১০৯ এবং রাশিয়ার একটি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার। সূত্র: সিজিটিএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন