শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নবীদের প্রতি কিতাব নাজিল হয় স্ব স্ব মাতৃভাষায়

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০৩ পিএম

সব ভাষারই স্রষ্টা হলেন আল্লাহ। আল্লাহ সব ভাষাই জানেন এবং যে ভাষায় তাঁকে ডাকা হোক না কেন, তিনি তা বুঝতে পারেন। দুনিয়ায় যে শত শত ভাষা রয়েছে, সেগুলো আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। কেননা, হযরত আদম (আ.) ছাড়া অন্য সব নবী-রসুলের প্রতি আল্লাহর প্রত্যাদেশ বা আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে তাঁদের মাতৃভাষায়।
মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে অবশ্যই জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষণীয় রয়েছে। -সূরা রুম, আয়াত ২২।
দুনিয়ার অন্যতম ভাষা হলো বাংলা এবং অন্য সব ভাষার মতো এ ভাষাও মহান আল্লাহর দান। এটি যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা সেহেতু এ ভাষার প্রতি আমাদের মমত্ববোধ বেশি। মাতৃভাষাকে ভালোবাসা প্রতিটি মুসলমানের দরকার। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মাতৃভাষার প্রতি মমত্ববোধ দেখিয়েছেন। বিশুদ্ধভাবে মাতৃভাষা আরবি চর্চায় তিনি ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে। 
সূরা ইবরাহিমের ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সব নবীকে তাঁদের স্বজাতির ভাষায় পাঠানোর কথা বলেছেন; যাতে তাঁরা আল্লাহর কথা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। হাদিসে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরবিভাষী হিসেবে যে গর্ববোধ করতেন তা স্পষ্ট করা হয়েছে।(মিশকাত)
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ যেসব নবী-রসুলের কাছে আল্লাহর ওহি প্রেরিত হয়েছে, তাও পাঠানো হয়েছে তাঁদের স্ব স্ব মাতৃভাষায়। হযরত মুসা (আ.)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল আসমানি কিতাব তাওরাত হিব্রু ভাষায়। হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর নাজিলকৃত জবুর ছিল ইউনানি ভাষায়। হযরত ইসা (আ.)-এর ওপর নাজিলকৃত ইনজিলের ভাষা ছিল সুরিয়ানি। 
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনে মাতৃভাষা বাংলার বাইরেও যে কোনো ভাষা শিক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। দুনিয়ার সব ভাষা যেহেতু আল্লাহর সৃষ্টি এবং তাঁর মহান নিয়ামত, সেহেতু কোনো ভাষাকে অবজ্ঞা করা ঠিক নয়। আল্লাহ আমাদের মাতৃভাষার চর্চাসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা ও চর্চার তৌফিক দান করুন।
লেখক : সাংবাদিক      

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন