শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে ধরলায় ভাঙন : আতঙ্কিত ৩ গ্রামের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৪২ এএম

এখন শীতকাল। নদীতে স্রোত নেই, পানিও কম। তারপরও ভাঙছে ধরলা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিন গ্রামের মানুষ। নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। ভাঙন রোধে এখনই পদক্ষেপ না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক মাস ধরে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের কিসামত, কিসামত মোগলবাসা ও সিতাইঝাড় গ্রামে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যেই কয়েকশ’ ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে তিন গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি, বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির, ঐতিহ্যবাহী মোগলবাসা হাট, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

তারা আরও জানান, গত এক বছরের মধ্যে এক কিলোমিটার দূরে থাকা ধরলা নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর রক্ষা বাঁধের একেবারেই কাছে চলে এসেছে। এই অবস্থায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনও পদক্ষেপ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে বাঁশের বান্ডেল দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও তা কোনও কাজে আসছে না।

মোগলবাসা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাই জানান, আমার বিদ্যালয়ে ১২শ’ শিক্ষার্থী। নদী বিদ্যালয়ের সন্নিকটে চলে এসেছে। এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তখন এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার উপায় থাকবে না।

মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বাবলু জানান, ধরলার ভাঙনে ইতোমধ্যে মোগলবাসা ইউনিয়নের বেশকিছু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে শুকনো মৌসুমেই আরও বেশকিছু ঘর-বাড়ি, জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হবে। আমি দ্রুত এই ভাঙন রোধে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মোগলবাসার ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী প্রতিরোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরলার ভাঙন রোধে ওই এলাকায় অস্থায়ীভাবে কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও ধরলার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে স্থায়ী প্রতিরোধের জন্য একটি প্রকল্প একনেকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রকল্পটি পাশ হলে মোগলবাসাসহ ধরলার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন