আগামী বৃহস্পতিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল পিতৃহীন স্কুল শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম (২৫)এর। বাবা না থাকায় বাড়ীতে বিয়ের কাজ-দায়দায়িত্ব নিজেকেই করতে হবে। বিদ্যালয়ের সহকর্মীদের বিয়ের দাওয়াত দিতে কার্ড নিয়ে সকালে মামার সাথে মোটরসাইকেলে চড়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তাসলিমা। কিন্তু মোটর সাইকেল থেকে পড়ে জীবনের যবনিকাপাত ঘটে তাসলিমার।
শনিবার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তার কিল্লা এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নিহত হন তাসলিমা। নিহত তাসলিমা বেগম উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে। তিনি মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব চরল²ী আশ্রয়ন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
নিহতের মামা দিদারুল আলম জানান, প্রতিদিন সকালে তার এক মামার সাথে মোটরসাইকেল যোগে বিদ্যালয়ে যাতায়ত করে তাসলিমা। আগামী বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর চৌরাস্তা এলাকার তার বিয়ে ঠিক করা হয়। আজ বিদ্যালয়ে গিয়ে সবাইকে দাওয়াত দিয়ে ছুঁটিতে আসার কথা ছিল তার। সকালে মামার সাথে মোটরসাইকেল যোগে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল তাসলিমা। পথে চৌরাস্তার কিল্লা এলাকায় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলের সামনে একটি কুকুর পড়লে কুকুরের সাথে মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লেগে দূর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটরসাইকেল থেকে সড়কের উপর পড়ে মাথায় আঘাত পায় তাসলিমা। পরে তাকে উদ্ধার করে চৌরাস্তা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, তাসলিমার বিয়ের আয়োজন নিয়ে তার বাড়ীতে অনেক দিন পর আনন্দ-উল্লাস চলছিল, কিন্তু এ দূর্ঘটনায় তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মুহুর্ত্বের মধ্যে তার পরিবার ও বাড়ীতে নেমে এসেছে শোকের মাতম। শনিবার বাদ আছর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
চরজব্বার থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন