বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চি ঠি প ত্র

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন

মো. আজগর আলী | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পদাধিকারী। ৭০-এর দশকে আমি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম। তারপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার রাজনীতি জীবনের শুরু থেকেই প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূল পর্যায়ে আমি দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং করছি। আমি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। সন্তানদের সাধ্যমত পড়ালেখা করিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শত চেষ্টার পরেও সন্তানদের কারও একটা সরকারি চাকরি হয়নি। অবশেষে বহু কষ্টে ছোট ছেলেটি ছাড়া সবার বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। অন্যদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমি এবং আমার স্ত্রী হৃদরোগ, কিডনি রোগ, শ্বাস-কষ্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। বলতে লজ্জা নেই, চাইলেও পারি না ভালো চিকিৎসা নিতে। চাল-চলনে কাউকে বুঝতে দেইনি অভাব-অনটন। বর্তমানে আমি বেশ কিছুদিন যাবত অনেকটা শয্যাশায়ী। ছোট ছেলেটি বেশ কয়েকটা মৌখিক পরীক্ষা দিলেও তার কোনো চাকরি হয়নি। এই হতাশায় সে একবার আত্মহত্যা করতে চাইলেও কোনো রকমে বেঁচে যায়। এই বৃদ্ধ বয়সে আজও একা আমাকেই পরিবারের ভরণ পোষণ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বহু কষ্টে ছোট একটা ব্যবসা করতে গেলে একটা কোম্পানি প্রতারণা করে আমাকে ঠকিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার স্ত্রী রীতিমত দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত। বয়স না থাকায় ছোট ছেলেটি এখন আর চাকরিতে আবেদনও করতে পারছে না। আমাদের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন ছিল, অন্তত যোগ্যতা অনুযায়ী তার একটা সরকারি চাকরি হবে। আপনি বলেছেন, মুজিব বর্ষে কেউ বেকার থাকবে না। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে আমি বাধ্য হয়েই আজ আপনার শরণাপন্ন হলাম। আপনিই আমার শেষ ভরসা ও শেষ আশ্রয়স্থল। তাই মৃত্যুর আগে আপনার মতো মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন বৃদ্ধ, হতভাগ্য পিতার করজোড় সমেত বিনীত অনুরোধ, কোন টাকা-পয়সা নয়, বরং যোগ্যতা অনুযায়ী আমার সন্তানটির জন্য ভালো কিছু করবেন। পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 

আপনার বিশ্বস্ত

৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন, ২নং ওয়ার্ড, বাহুবল, হবিগঞ্জ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন