শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উগ্রবাদ-মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে আলেম সমাজকে কাজে লাগাতে হবে --- এ এম এম বাহাউদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ নির্মাণ এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আলেম সমাজকে কাজে লাগানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করছেন দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও মাদরাসা শিক্ষকদের একক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আলেম সমাজ সমগ্র জনগোষ্ঠির ২০ ভাগকে বিনা পয়সায়, সরকারের সহযোগিতা ছাড়াই শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে মাদকবিরোধী, জঙ্গীবাদ বিরোধী মনোভাব তৈরি করছে। সমাজকে স্থিতিশীল রাখতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশের আলেম সমাজ যদি এসব কাজের ব্যাপারে হতাশ হয়ে যায়, তাহলে সমাজের ভয়াবহ পরিণতি হবে। তখন আড়াই’শ কোটি কেন? আড়াই হাজার কোটি টাকাসহ রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পদই চলে যাবে মাদকাসক্তদের পেছনে। শুধু র‌্যাব-পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না, তাদের সাথে আলেম সমাজকেও কাজে লাগাতে হবে। 

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে মুনিরীয়া যুব তবলীগের ঐতিহাসিক এশায়াত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, কয়েকদিন আগে র‌্যাবের ডিজি (মহাপরিচালক) বলেছেন, প্রতিদিন মাদকের পেছনে কমপক্ষে ব্যয় হয় আড়াই’শ কোটি টাকা। কমপক্ষে দেশের ৮০ লাখ লোক মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তদের মধ্যে রয়েছে- সামরিক বাহিনীর লোক, পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলার সব ধরণের বাহিনীর লোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, তরুণ প্রজন্ম, অসংখ্য নারী। যারা মাদকের পেছনে টাকা ব্যয় করছেন, তারা পরিবারের শান্তি নষ্ট করছেন, সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করছেন, ভাই-ভাইকে মারছে, পিতা-মাতার সাথে সংঘর্ষে যাচ্ছে। এ থেকে রাষ্ট্র ও সমাজকে রক্ষা করতে পারে মূল ধারা ও ত্বরিকতপন্থী আলেম-ওলামাগণ। তা না হলে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়বে, দেশের নিরাপত্তা সঙ্কট হবে, দেশের অর্থনীতির অবনতি হবে।


মুসলমানরাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে মন্তব্য করে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, সউদী আরব, ইয়েমেন, তুরস্কের সাথে সিরিয়া কিংবা দেশের ভেতরেই বলি, সবখানেই মুসলমানরা মুসলমানদের সাথে লড়াই করছেন। লন্ডনে মসজিদের ৭০বছর বয়স্ক ইমামকে ছুরিকাঘাত করেছে আরেকজন মুসল্লি। আফ্রিকার দেশে দেশে- মিশর, সোমালিয়া, সুদান, আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনিশিয়া, লিবিয়া প্রত্যেকটা দেশে অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাত চলছে। সেখানে এসব সঙ্ঘাত নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্র আলেম সমাজের সাথে প্রকৃত সম্পর্ক গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য সেখানে উগ্র জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটছে। সেটা সেনাবাহিনী দিয়ে থামাতে পারছে না। তাদের কর্মকান্ডের কারণে বিশ্বের খ্রিস্টান, ইহুদিসহ অন্য ধর্মের নেতৃবৃন্দ সুযোগ নিচ্ছে স্লাভোকিয়ার প্রধানমন্ত্রীসহ পশ্চিমা দেশের নেতারা বলছেন, সমস্ত জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের সম্পর্ক আছে। কথাটা বলতে পারছে কারণ যারা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন মুসলমান নামধারী, এমন বিচ্ছিন্ন চিন্তাধারা ও কতিপয় উগ্রবাদী লোকের কর্মকান্ডের কারণে মুসলমানরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।


তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের এ ধরণের উগ্রবাদী চেতনার প্রসার ঘটানোর প্রয়াস ছিল এবং এখনো আছে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে, আন্তরিকতার সাথে এদেশের আলেম সমাজকে সাথে নিয়ে কাজ করেছেন। যার ফলে উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। পাকিস্তানেও উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল, সেখানে ইমরান খান ধর্মীয় নেতৃত্বের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে সামরিক কৌশল, ধর্মীয় কৌশল ও আলেম ওলামাদের সাথে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। একইভাবে তুরস্কে রিসেফ তায়েফ এরদোগান, মালয়েশিয়ায় ড. মাহথির মুহাম্মদ সকলে আলেম সমাজের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখছেন, নিজেরা ব্যক্তিগতভাবেও ধর্ম পরায়ণ ও ধর্ম চিন্তাবিদ।


উগ্রবাদী চেতনা সম্পন্ন ইসলামী সমাজ যাতে না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে জমিয়াত সভাপতি বলেন, এখন অনেকের মধ্যে একধরণের ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে, ইউটিউবে জনপ্রিয়তা অর্জনের। কার কত ভিউ, কার কতো ফলোয়ার এই প্রতিযোগিতা চলছে। এটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। রাষ্ট্রের চিন্তাবিদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যারা ভালো বলবে তারা ভালো।
তিনি বলেছেন, উগ্রবাদী ধ্যান-ধারনা কমাতে হলে মূল ধারার আলেম সমাজ-ত্বরিকতপন্থী আলেম সমাজের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের সম্পর্ক আরো গভীর করতে হবে। গভীর থেকে চিন্তাভাবনা জানতে হবে। কি হচ্ছে তা জানতে হবে। মূল ধারার আলেম সমাজ যদি সমাজ গঠনের চিন্তা বাদ দেন তাহলে সমাজ যে ধরণের ইসলামী চেতনার হবে, রাষ্ট্র যে ইসলামী ধারার লোকদের হাতে যাবে সেই ইসলামী ধারার লোক হবে উগ্রবাদী, ঐ ধ্যান-ধারণার হলে রাষ্ট্র ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে পড়বে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও সমাজ সঙ্ঘাতের মধ্যে পরবে।


মুনিরীয়া যুব তবলীগের কমিটির উদ্দেশ্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, মুনিরীয়া যুব তবলীগ ত্বরিকতপন্থী, সুফীবাদে বিশ্বাসী একটি সংগঠন। এরা সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করছে। ভালো কাজে জড়িত রাখছেন। ভালো কাজ করে যান, রাষ্ট্র যারা পরিচালনা করছেন তারা সকলেই আপনাদের কাছে, আলেম সমাজের কাছে আসবে।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ বলেন, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন সৃষ্টির হেদায়তের জন্য যে পথ রেখেছেন সেই পথই সিরাতুল মোস্তাকীম। যে পথের কর্ণদ্বার নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদগণ এবং সালেহীন বান্দারা। আল্লাহর উপর ঈমান, নবীর উপর পূর্ণ ঈমান ও অনুসরণের মাধ্যমে যাঁরা পূর্ণতার স্তরে পৌঁছান তারাই সালেহীন। কালের পরিক্রমায় আমরা পেয়েছি এমন একজন রাহবার যিনি সলফে সালেহীনের ইতিহাসে একজন কালজয়ী নক্ষত্র। শরীয়তের পূর্ণ বাস্তবায়ন, নবীর সুন্নতের অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে নিজেকে এমনভাবে রাঙিয়েছেন যে নবী (দঃ) উনাকে আপন হাতে বায়াত করিয়ে খলিফায়ে রাসুলের মর্যাদা দিয়েছেন। নবীর বাতেনী নূর বিতরণের মাধ্যমে ইমাম হুসাইন (রাঃ) যেমন নবীর প্রেমে সর্বস্ব উজাড় করেছেন তেমনি প্রিয় রাসুলের প্রেমে হযরত গাউছুল আজমও সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।


তিনি বলেন, যে পথে নিয়ামত আছে সে পথে বাধা আছে, শয়তানি প্ররোচনা আছে, নফসের প্রলোভন আছে। এখানে এখলাসের মাধ্যমে গাউছুল আজম যে পথ দেখিয়েছেন সে পথ ধরে গেলে ইনশাআল্লাহ দুজাহানে বিজয় সুনিশ্চিত। কারণ উনার তরিক্বত প্রতিষ্ঠিত নবীর প্রেমের উপর, এখলাসের দৃঢ় ভিত্তির উপর সর্বোপরি শতশত রজনীতে নিরবে বিসর্জনকৃত অশ্রুর উপর। এই তরিক্বতের মূল বিষয় হচ্ছে অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি। আত্মশুদ্ধির শপথে আধ্যাত্মিকতার সোপানসমূহ অতিক্রমের মধ্য দিয়ে মঞ্জিলে মকছুদ হাসিলই একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই বাধার পাহাড়, দ্বিধার দেয়ালে মোখলেছরা ভেঙ্গে পড়েনা, হতাশায় মছকে যায়না। এশায়াতের ঐশী মিশনের ভিশন হলো নবীকে রাজি করানো তাই নবীর ফুয়ুজাত এবং বরকত সবসময় এই তরিক্বতে জারি। এই তরিক্বতের অগ্রযাত্রার লক্ষ্যমাত্রা হলো লা মকানের রবের সাথে সাক্ষাত। হযরত গাউছুল আজমের হিকমত ও হিম্মতের অনন্য নজির এশায়াত সম্মেলন।


পবিত্র জশ্নে জলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদ্যাপন ও কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রাঃ) স্মরণে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ তরিক্বতের এ সম্মেলনের আয়োজন করে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুছলেহ উদ্দিন আহমদ মাদানী, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দীন, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মজুমদার, ড. ছৈয়দ এমদাদ উদ্দীন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর, মাওলানা মুহাম্মদ রাকিব উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক ও মুহাম্মদ সালাউদ্দীন। মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম (রাঃ)’র ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (32)
কে এম শাকীর ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:২৭ পিএম says : 0
ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবে সংক্ষিপ্ত এই বক্তব্যের প্রত্যেকটি কথা খুবই মূল্যবান।
Total Reply(0)
Jabed ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:২৮ পিএম says : 0
Thanks for very nice and important speech
Total Reply(0)
তারেক মাহমুদ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:২৯ পিএম says : 0
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি বুঝার তৌফিক দান করুক।
Total Reply(0)
মেহেদী ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৩ পিএম says : 0
অবহেলিত মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীন স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবে।
Total Reply(0)
মাহফুজ আহমেদ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৩ পিএম says : 0
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন অত্যন্ত মূল্যবান ও বাস্তবসম্মত কথা বলেছেন।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৪ পিএম says : 0
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আপনার নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও ভূমিকা রাখবে। আপনাদের সফলতা কামনা করছি।
Total Reply(0)
সাব্বির আহমেদ বাবু ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৫ পিএম says : 0
মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামের জন্য আপনার ও আপনার পিতার অবদান এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা চিরদিন মনে রাখবে। আপনাদের কাজ আপনারা চালিয়ে যান। এদেশের মানুষ সর্বদাই আপনাদের পাশে আছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আপনারা যে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন এজন্য আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম জাযাহ দান করুক।
Total Reply(0)
কে এম শাকীর ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৬ পিএম says : 0
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মাদরাসাগুলোর ক্লাসেই সু-শিক্ষা দেয়া হয়। সুশিক্ষা ছাড়া সমাজে ভাল মানুষ তৈরি হয় না। বর্তমান সরকারের সময় দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তা ধরে রাখতে সমাজে-নের্তৃত্বে সুশিক্ষিত-ভালো মানুষের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
Total Reply(0)
চাদের আলো ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৭ পিএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ হজরত মাওলানা এম. এ. মান্নান (রহঃ) যেভাবে এ দেশের ইসলাম, মুসলমান ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন ঠিক একইভাবে তার সুযোগ্য সন্তান এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবেও কাজ করছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি, এই পরিবার ও তাদের সকল কর্মকাণ্ডের প্রতি তিনি যেন রহমত ও বরকত দান করেন।
Total Reply(0)
MAHMUD ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪১ পিএম says : 0
Dear HONOURABLE EDITOR SIR (DAILY INQILAB), many thanks for your good lecture. May ALLAH bless you.
Total Reply(0)
সাদ বিন জাফর ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 0
স্যার আপনার মতের পক্ষে যৌক্তিক ব্যাখ্যাটা অনেট বাস্তবিক। আলেমরাই জনমত গঠনের কারিগর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আজ দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় ইসলামের পক্ষে মৌলিক কোনো বিষয়েও জনমত গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারে মসজিদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেই সুফল আমরা পাচ্ছি না।
Total Reply(0)
তাসলিমা বেগম ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 0
অত্যন্ত বাস্তবসম্মত কথা। আলেম সমাজই মূলত জনমত গঠন করতে পারেন। তাদেরকে রাষ্ট্রের মূল্যায়ন করা উচিত।
Total Reply(0)
নাসিম ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৩ পিএম says : 0
যে আলেমদের মাধ্যমে জনমত গঠন হয় আজ সেই আলেম সমাজের অনৈক্যের কারণে শান্তি আসছে না। আপনাদের মতো ব্যক্তিরা ঐক্যের প্রচেষ্টা চালালে দেশের মুসলমানরা সেই সুফল পাবে বলে আশা করি।
Total Reply(0)
নাজারেথ স্বনন ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৩ পিএম says : 0
মাদকমুক্ত, অপরাধমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করতে আপনারা সরকারকে সহায়তা দেওয়ার যোষণা দিয়েছেন সত্যি তা প্রশংসার দাবি রাখে।
Total Reply(0)
শিমুল খান ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম says : 0
নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় শিক্ষা, ইসলামী মূল্যবোধের অভাবেই দেশে অপরাধ হচ্ছে। তাই ইসলামী মূল্যবোধ, ইসলামী আদর্শের প্রভাব সমাজের সর্বস্তরে কাজে লাগাতে হবে। এ বিষয়ে আপনার সাথে একমত।
Total Reply(0)
Ashik ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম says : 0
Salute sir. Your comment 100% right.
Total Reply(0)
সাকা চৌধুরী ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
আলেম সমাজই পারে উগ্রবাদ মাদক সন্ত্রাস মুক্ত করতে।
Total Reply(0)
সত্য পথের কথা ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:২৫ এএম says : 0
ধন্যবাদ দৈনিক ইনকিলাব এবং এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেব কে
Total Reply(0)
মুহাম্মদ ফোরকান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৭ এএম says : 0
লেখাটা খুব ভাল লেগেছে। সম্মানিত ইনকিলাব সম্পাদক ও কাগতিয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ এবং বর্তমান সরকারের ইসলাম বিষয়ক চিন্তা যেন এক সূতে গাঁথা। ইনশাআল্লাহ এ দেশ যেনো ভালোবাসার-সম্পৃতির-শান্তির বাংলাদেশ।
Total Reply(0)
Faruk ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৩ এএম says : 1
বাহাউদ্দীন সাহেব আপনার কিছু কথা বিব্ভান্তি মুলক কিসের আবার তরিকত কিসের আবার মিলাদ কিয়াম ?
Total Reply(0)
রিপন ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩২ পিএম says : 0
উগ্রবাদ-মাদক-সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা
Total Reply(0)
কামরুজ্জামান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৪ পিএম says : 0
সুন্দর সমৃদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষদের কোন বিকল্প নেই
Total Reply(0)
তুষার আহমেদ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৫ পিএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও মাদরাসা শিক্ষকদের একক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবের কাছে অনুরোধ আপনার আপনাদের কাজ চালিয়ে যান। এদেশের মানুষ আপনাদের সাথে আছে
Total Reply(0)
আমির হামজা ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৩৮ পিএম says : 0
আলেম সমাজের সাহায্য ছাড়া দেশকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা কঠিন।
Total Reply(0)
মেম্বার অনিক ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৩৮ পিএম says : 0
অত্যন্ত কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার কি পরামর্শ গ্রহণ করবে।
Total Reply(0)
নীল আকাশ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:০৭ পিএম says : 0
আমি আপনার সাথে একমত। খুবই সুন্দর পরামর্শ
Total Reply(0)
মেহেদী ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:১৫ পিএম says : 0
জি স্যার সম্পূর্ণ একমত। আলেম সমাজই দেশের আলোকবর্তিকা। তাদেরকে কাজে লাগিয়ে সব কিছু সম্ভব।
Total Reply(0)
কাজী আনওয়ার ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:১৫ পিএম says : 0
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উ্ত্তম প্রতিদান দিন।
Total Reply(0)
Jamil Hosen Jon ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ এএম says : 0
Good advice for Govt
Total Reply(0)
Belaeat Hossain ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম says : 0
May Allah bless you for your good comment
Total Reply(0)
BASIRUL ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম says : 0
100% Right
Total Reply(0)
Rasel Arafat ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
মাশা-আল্লাহ অনেক সুন্দর বক্তব্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি বুঝার তৌফিক দান করুক। এবং সবাইকে হেদায়েত নসিব করুক।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন