শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বিশেষ তহবিল ইতিবাচক পুঁজিবাজার ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ফান্ড গঠনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্কুলার জারি করেছে তার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে শেয়ারবাজারে। আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৫২১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৯২৫ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৯৮৫ টাকা বা ৭৪ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৯৬ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৯০৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৮ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৫১৯ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৯৯১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৮৫ কোটি ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ টাকা বেশি হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ১২ হাজার ১৯৬ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৬২ কোটি ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ২১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সিডিএসইটি সূচক ৩৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯০, ১৫৯৩ ও ৯৫২ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪২টি বা ৬৮ শতাংশের, কমেছে ৯১টির বা ২৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির বা ৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ২৪৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯২০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৪ কোটি ৭২ হাজার ৫৫ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৯১ কোটি ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৫ টাকা বা ৫৯ শতাশ বেড়েছে।

মন্দা অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য শুধু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে প্রত্যেক ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ ফান্ড গঠন করতে পারবে মর্মে গত ১০ ফেব্রæয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে। ওই সার্কুলারের পর উত্থানে ফিরতে শুরু করে শেয়ারবাজারে। একই সঙ্গে প্রতি কার্যদিবসেরই বাড়তে থাকে টাকার পরিমাণে লেনদেন।

এরও আগে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জানুয়ারি উচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কয়েকটি নির্দেশনা দেন। ওই বৈঠকের পর ১৯ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ে। কিন্তু পরবর্তীতে শেয়ারবাজার আবার মন্দায় পতিত হয়। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রæয়ারি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা করে ফান্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করে। যে কারণে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরতে শুরু করে শেয়ারবাজার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন