গুজরাটের সুরাটে এক হাসপাতালে শিক্ষানবীশ নারী কর্মীদের পোশাক খুলিয়ে ফিটনেস টেস্টের জন্য স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষার করার অভিযোগ উঠেছে। -বিবিসি
ঘটনা আমলে নিয়ে সুরাট মিউনিসিপ্যাল কমিশনার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ফিটনেস টেস্টের নামে ১০ জন নারী কর্মীকে একটি ঘরে ঢোকানো হয়। ঘরটি নামমাত্র আটকানো থাকে। সেখানেই একসঙ্গেই তাদের পোশাক খুলিয়ে প্রেগনেন্সি ও স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা করান একজন নারী চিকিৎসক।
ইউনিয়ন প্রধান আহমেদ শেখ বলেন, এমন ন্যক্কারজনকভাবে পরীক্ষা না করে অন্য যে কোনো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতেও তো তাদের শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া যায়। ওই হাসপাতালেরই একজন নারী কর্মী বলেন, কোনো গাইনোকলজিক্যাল পদ্ধতি অনুসরণ না করে একই পদ্ধতিতেই আজ থেকে ২০ বছর আগে আমাকেও শারীরিক পরিক্ষাটি দিতে হয়েছিল।
সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিয়ন জানায়, তিন বছরের শিক্ষানবীশ এর মেয়াদ শেষে যদি কেউ আরও কাজ করতে চান, তাহলে তার এ ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
হাসপাতালটির ডিন বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হলেও কখনো কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন