শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

নদী ড্রেজিং প্রকল্পে চাই স্বচ্ছতা, জেলেদের পুনর্বাসন জরুরি

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

 

নদী ড্রেজিং প্রকল্পে চাই স্বচ্ছতা
সরকার এর আগে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এক হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। সে প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল, নদীর নিচে যে বর্জ্য জমা হয়েছে তার দুই ফুট পর্যন্ত তুলে ফেলে নদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। তখন কিছু দিন বুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং করতেও দেখা গেছে। জানা গেছে, বুড়িগঙ্গায় পানির নিচে পলিথিনের ১৪ ফুট স্তর জমা হয়েছে। সেখানে দুই ফুট ড্রেজিং করলে কি ফলদায়ক হবে, তা কারও বোধগম্য নয়। এ ছাড়াও ঢাকার আশপাশে চারটি নদী রয়েছে। সে নদী এখন দূষণ এবং দখলের মহামারী রূপ ধারণ করেছে। তাদের টিপিআই চালু রাখার কথা থাকলেও তা শুধু দিনের বেলায় চালু রাখছে। রাত হলে নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ফেলা হয় অবলীলায়। বুড়িগঙ্গার পানি শুকনা মৌসুমে কুচকুচে কালো আলকাতরার রঙ ধারণ করে। নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় আছে। নদীগুলোকে দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে স্রোত বইয়ে দেওয়ার নির্দেশ আছে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে সীমানা পিলার নদীতে বসিয়ে দখলদারদের স্বার্থ রক্ষার কাজটিই অবলীলায় করেছেন নদী রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা। তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে লাভ কী? এখনই এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
অলিউর রহমান ফিরোজ
রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ।


জেলেদের পুনর্বাসন জরুরি
ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের সময় জেলেদের ইলিশ মাছ ধরার শাস্তি হিসেবে জেল-জরিমানা খুব বেশি শাস্তি হয়ে যায়। জেলে পরিবারের দুর্দশা নিয়ে আরও বিস্তর ভাবা প্রয়োজন। গত কয়েক দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ আছে। এর মধ্যে কিছু জেলেকে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে গ্রেফতার করার খবর প্রকাশ পেয়েছে। যারা নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ধরতে যায়, তাদের আইনের আওতায় এনে কাউন্সেলিং এবং তাদের দৃষ্টিসীমার মধ্যে রাখা উচিত। তারা এই সময়ে কী কাজ করবে সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সাঈদ চৌধুরী শ্রীপুর, গাজীপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন