সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর অভিযান ঠেকাতে যে কোনো সময় তুরস্ক সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। ২০১১ সাল থেকে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইদলিব হলো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি। খবর বিবিসির। সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও দেশটির মিত্র রাশিয়া ২০১৮ সালে অস্ত্রবিরতিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইদলিবমুখী অভিযান শুরু করেছে। ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই অভিযানে ৯ লাখ বেসামরিক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই শিশু। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয়া তুরস্ক আশঙ্কা করছে নতুন করে শরণার্থী ঢল নামতে পারে। ফলে তারা ইদলিবে সেনা ও সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। তবে এতে করে রুশ বাহিনীর সহায়তায় সিরীয় বাহিনীর ইদলিবের দিকে অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পারেনি আঙ্কারা। এই মাসের শুরুতে বেশ কয়েকজন তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় সিরীয় বাহিনীকে দায়ী করে আসছে তুরস্ক। এরদোগান সিরীয় বাহিনীকে অগ্রসর না হতে হুশিয়ারি জানিয়েছেন। তা না করলে সিরীয় বাহিনীকে সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে বলেও সতর্ক করেন তিনি। বুধবার ক্ষমতাসীন একে পার্টি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেন, সিরীয় শাসকদের ইদলিবে প্রবেশ ঠেকানোর শেষ মুহ‚র্তের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তুরস্ক নিজেদের অভিযান পরিচালনার সব প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা যে কোনো মুহ‚র্তে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারি। এরদোগান সিরিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন, সীমান্ত অঞ্চলকে যে কোনো মূল্যে নিরাপদ রাখা হবে। বিবিসি এ খবর জানায়। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, লিবিয়ায় চলমান সংঘর্ষে তুরস্কের অন্তত ১৬ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী। রোববার এ দাবি করে বিবৃতিতে দিয়েছে হাফতারের মুখপাত্র। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানও স্বীকার করেছেন, তার দেশের কিছু সেনা মারা গেছেন। ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তুরস্ক দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন