ইন্দুরকানীতে ডিসিআরকৃত জমির বসতবাড়ি ও দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত রোববার উপজেলা সদর ইন্দুরকানী বাজারে পাকা ২টি বসতবাড়ি, ৪টি দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা উর রহমান ও অশোক বিক্রম চাকমা। ইন্দুরকানী বাজারে দ্বিতলা বসতবাড়ীর মালিক আবুল কালাম ও মুজিবুর রহমান কাজী বাজার ব্যবসায়ী মোবারেক আলী, আলমগীর কাজী, ইলিয়াছ কাজী, ছত্তার কাজী ও ইউনুস কাজী এদের দোকান ঘর ভেঙে ফেলা হয়।
অফিস সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী বাজারে নির্ধারিত জায়গায় এ্যাসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস করায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্বে তাদেরকে সরকারি জমির উপর স্থায়ি স্থাপনা সরানোর জন্য নোটিশ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, আমরা ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। গত ২০ তারিখে আমাদের অফিস থেকে নোটিশ দেয়া হয়। ৩ দিনের মাথায় আমাদের স্থাপনা ও মালামাল ভেঙে ফেলা হয়। আমরা কিছুই সরাতে পারি নাই। একই স্থানের থাকা মন্দিরে কোনো কাগজপত্র নাই শুধু মাত্র একটি দরখাস্ত দিয়ে তারা পাকা ভবন করে মন্দিরে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠানটি না ভেঙে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর ভেঙে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন জানান, ইউনিয়ন ূভঐযযলভূমি অফিসের ৫০ গজ দূরে দ্বিতলা বসতঘরটি নির্মাণের সময় বসতঘর সংলগ্ন ভূমি অফিস থেকে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি জন্য ভূমি অফিসের কর্মকর্তারাই দায়ি।
উপজেলা ভূমি অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই উচ্ছেদ অভিযান জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় থেকে পরিচালনা করা হয়েছে। এ বিষয় জানতে হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যোগাযোগ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা জানান, সরকারি জমিতে অবৈধভাবে বসতঘর ও দোকান ঘর স্থাপনা করা হয়েছে তাই উচ্ছেদ করার জন্যই এ অভিযান এবং মন্দির স্থানান্তারে জন্য কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন