বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অবশেষে রাজঘাটের ভিজিটর্স বুকে ট্রাম্পের কলমে এল গান্ধীর নাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:৩৭ পিএম

মঙ্গলবার রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প


সবরমতী আশ্রমে ভিজিটর্স বুকে লিখতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর নাম নেননি। শুধু ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির কথাই লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা নিয়ে ব্যপক সমালোচনা হয়েছে। তবে রাজঘাটে যেয়ে সেই ভুল করেননি তিনি। এ বার ঠিকই লিখেছেন ভারতের জাতির জনকের কথা।

মঙ্গলবার রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প। সেখানকার ভিজিটর্স বুকে ট্রাম্প লেখেন, ‘সার্বভৌম ও মহান মহাত্মা গান্ধীর দুর্দান্ত ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে আমেরিকার মানুষ। এটা খুবই সম্মানের।’ ট্রাম্পের পাশাপাশি ভিজিটর্স বুকে স্বাক্ষর করেন তার স্ত্রীও।

সোমবার আমেদাবাদে সবরমতী আশ্রমের ভিজিটর্স বুকে মন্তব্য লিখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কলমে মহাত্মা গান্ধী কথা আসেনি। ভারত তথা পুরো বিশ্ব এই আশ্রমকে চেনে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত স্থান হিসেবে। এ কথাও অজানা নয় যে, দলমত নির্বিশেষে ভারতের মানুষ গান্ধীকেই ‘জাতির জনক’ মানেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য সে ভাবাবেগের পরিবর্তে বন্ধুত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে নরেন্দ্র মোদির কথাই লেখেন সেখানে এবং বিপুল সমালোচিতও হন।

সেখানকার ভিজিটর্স বুকে ট্রাম্প যা লিখেছিলেন, তা বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘এই দুর্দান্ত সফরের জন্য আমার বড় প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ।’ সংক্ষিপ্ত বাক্য হলেও স্বভাবগত ভাবে অকপট প্রেসিডেন্টের মনোভাব বোঝার পক্ষে যথেষ্ট। আর তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ট্রাম্প কি আদৌ ওয়াকিবহাল আশ্রমটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে? ইতিহাস বলছে, ১৯১৭ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে সেখানেই ছিলেন মহাত্মা। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ডান্ডি অভিযানের শুরুও এখান থেকে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত ‘ফিডব্যাকে’ সে ইতিহাসের আঁচটুকু পাওয়া সম্ভব নয়। সেখানে স্রেফ প্রিয় বন্ধু ও সফর আয়োজনের কৃতজ্ঞতা।

এ প্রসঙ্গেই ভারত আর এক মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা মনে করেছে এ দিন। তিনি বারাক ওবামা। ২০১০ সালে মুম্বইয়ে গান্ধীর স্মৃতিধন্য ‘মনি ভবন’ পরিদর্শন করে তিনি লিখেছিলেন, ‘গান্ধীর জীবনের সঙ্গে জড়িত এই অন্যতম মাইলফলকটি দেখার পর আমার মধ্যে এখন আশা ও উদ্দীপনার জোয়ার। উনি শুধু ভারতের নন, বিশ্বনায়ক।’ এর পরের পর্যবেক্ষণটি ২০১৫ সালের। রাজঘাট পরিদর্শনের পর ওবামা লেখেন ‘মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র যা বলেছিলেন, তা এখনও সত্য। গান্ধীর মতাদর্শ আজও ভারতে প্রাণবন্ত হয়ে রয়েছে। এটি বিশ্বের কাছেও উপহার।’ সূত্র: টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন