ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক প্রেমিকাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করলেও প্রেমিক সামিউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
গত রোববার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকা থেকে প্রেমিকের দুই ধর্ষক বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল সকালে ১৯ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক তরুণী বাদী হয়ে প্রেমিক সামিউল ইসলামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতাররা হল- আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার মৃত জলিল সরকারের ছেলে রানা সরকার (২৫) ও একই এলাকার মৃত জামাল মোল্লার ছেলে আরিফ হোসেন (২৯)। পলাতক পোশাক শ্রমিক সামিউল ইসলাম মৃধা ওরফে সোহান (২২) আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুরে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ওই তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আরেক কারখানার শ্রমিক সামিউল ইসলামের। গত রোববার ওই তরুণী নরসিংহপুর এলাকায় তার বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে বাসায় ফেরার পথে প্রেমিক সামিউল তাকে নরসিংহপুর এলাকায় তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। এরপর কৌশলে ওই তরুণীকে নিজ কক্ষে নিয়ে দরজা আটকে দেয় সামিউল।
কক্ষে আগে থেকেই সামিউলের বন্ধু আরিফ ও রানা অবস্থান করছিল। পরে প্রেমিক সামিউল, তার বন্ধু আরিফ ও রানা ওই তরুণীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় সে চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হলে পরদিন এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) ফজলুল হক জানান, ওই তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকা থেকে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় পলাতক সামিউলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। একই সাথে ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন