স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে পদ্মার চরে ও ঝোপ জঙ্গলে আড্ডাবাজদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। পদ্মার তীরে তারা ব্যানার টানিয়ে লিখেছে ‘(সকল ছাত্র ছাত্রীদের) স্কুল ও কলেজের নির্দিষ্ট পোষাকে চরের নিচে নামা নিষেধ। মাগরিবের আজানের পর সকল জনসাধারনের চরের নিচে থাকা বা নামা নিষেধ। সকল জনসাধারনের চরে কোন ঝোপ জঙ্গলে বা নির্জনে বসে কোন রকম আড্ডাবাজি করা নিষেধ। ভদ্রতা, সততা, শৃঙ্খলা বজায় রাখুন।’ আদেশক্রমে বোয়ালিয়া মডেল থানা।
শিক্ষানগরী রাজশাহীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে নগরীর বাইরে থেকেও আসে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। এরা বিভিন্ন ছাত্রাবাস, মেস আর হোস্টেলে অবস্থান করে। অভিভাবকরা কাছে নেই বলে অনেকে হয়ে যায় বাঁধনহারা। স্কুলের ছেলে মেয়েরাও দেখাদেখি ফাঁকি দিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে যায় পদ্মার পাড়ে। স্কুল কলেজের ড্রেসে দিনভর মরা পদ্মার তীরে আর কাশবন ঝাউবনের আড়ালে আড্ডা জমায়। কেউ কেউ অনৈতিক কাজেও লিপ্ত হয়। দিনভর ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ভাবখানা এমন যেন তারা বিদ্যাচর্চা করছে। আসলে বেশীরভাগ পর্নো ছবিতে আসক্ত। ঝোপের আড়ালে এদের অশালীন কাজ কারবার চলে।
আবার এদের নিয়ে চাঁদাবাজিও কম নয়। এক শ্রেণীর উঠতি মাস্তান এদের নাজেহাল করে। ভয়ভীতি দেখায়। টাকা পয়সা ল্যাপটপ মোবাইল কেড়ে নেয়। সুযোগ বুঝে তারাও অশ্লীল আচরণ করে। অনেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত আড্ডায় মত্ত থাকে। স্কুল কলেজের ড্রেস পরে ক্লাস ফাঁকিবাজদের ধরতে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ ও দুটি স্কুলের প্রধান সরাসরি ঐসব স্থানে বেশ কবার হানা দিয়ে ধরেছেন। সতর্ক করেছে। এমনকি অভিভাবকদের কানে বিষয়টা তুলেছে। পুলিশ র্যাব মাঝে মধ্যে হানা দিয়েছে। কিছুদিন সতর্ক থাকার পর আবার যেইসেই অবস্থা। এদের কারনে ভদ্র ছেলে মেয়েরা কিংবা অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে নদী তীরে আসতে বিব্রতবোধ করেন। এদের অনেকে ইভটিজিং, ছিনতাই, মাদকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এমন সতর্ক নোটিশ টানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন