বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার পুনঃবিচার হবে---- মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২২ এএম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনঃবিচারের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা বলেছে, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। এই ঘটনার জন্য সেনাবাহিনী থেকে ওই সময়ে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিলো তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। আমরাও মনে করে, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ক্ষমতা যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেবো। গতকাল সকালে পিলখানা হত্যাকান্ডের একাদশবার্ষিকীতে বনানী সেনা কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। তারা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিডিআর) ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দিতেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আজকে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সাথে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মো. শাহজাহান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন,অবসরপ্রাপ্ত মেজর কোহিনুর হোসেন নূর, শামীমুর রহমান শামীমুর, শায়রুল কবির খান প্রমূখ।
২০০৯ সালের ফেব্রæয়ারিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সে বিদ্রোহে সে বছরের ২৫ ফেব্রæয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনী সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) হয়। ৫৭টি বিদ্রোহের মামলা বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ৬ হাজার জওয়ানের কারাদন্ড হয়। বিদ্রোহের বিচারের পর পিলখানা হত্যাকান্ডের মামলার বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে। ঢাকা জজ আদালত ২০১৩ সালে দেওয়া রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিলো। এছাড়া ২৫৬ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেয়। ২০১৭ সালে দেয়া রায়ে ১৩৯ আসামীকে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। ১৮৫ জনকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়, তিন থেকে ১০ বছরের সাজা দেয় ২২৮ জনকে।###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন