মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে চায় পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০২ পিএম

তুরস্কের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চায় পাকিস্তান। তুরস্কের অন্যতম প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এসটিএমের জেনারেল ম্যানেজার এ কথা জানিয়েছেন। গত দশকে এই প্রতিষ্ঠান পাকিস্তানের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প তৈরী করেছে। তারা বিশেষভাবে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর দিকে মনোযোগ দিয়েছে বলে মুরাত ইকিনচি আনাদুলু এজেন্সিকে জানিয়েছেন।

তুরস্কের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করে এসটিএম। পাকিস্তানে এই প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পগুলো অনেক কোম্পানির জন্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করে। প্রতিষ্ঠানটি পাকিস্তানের জন্য তৈরী করা জাহাজের জন্য উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছে।

মুরাত ইকিনচি বলেন, কোম্পানির দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের আগস্তা ৯০বি সাবমেরিনের আধুনিকায়ন। তিনি বলেন, সাবমেরিনটির প্রস্তুতকারী দেশ ফ্রান্সের অবরোধ আরোপ ও বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এই প্রকল্প সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রী জুবাইদা জালালও তুরস্কের সাথে দেশটির সহযোগিতায় খুশি। তিনি বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব প্রকল্প আন্তরিক উদ্যাগ গ্রহণ করা হবে বলে আমরা আশা করছি।

তুরস্ক মূলত বাইরের ওপর নির্ভরশীলতা অবসান করার লক্ষ্যেই তার প্রতিরক্ষা শিল্পকে বিকশিত করছে। তারা তাদের প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিদেশেও রফতানি করতে আগ্রহী। আর পাকিস্তানও এই খাতে তুর্কি পণ্যের অন্যতম আমদানিকারক ও অংশীদার।

২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান নৌবাহিনী ১৭ হাজার টনের ট্যাংকারের উদ্বোধন করে। এটি তুরস্কের একটি প্রতিরক্ষা কোম্পানির সহযোগিতায় করাচিতে প্রস্তুত করা হয়। করাচি শিপিয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে নির্মিত রণতরীগুলোর মধ্যে এটিই এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য চারটি ছোট রণতরী নির্মাণের কয়েক মিলিয়ন ডলারের একটি দরপত্র জিতে নেয় আঙ্কারা। এটিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের ইতিহাসে এ যাবতকালের বৃহত্তম রফতানি চুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়।

তুরস্কের স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত টি-১২৯ অ্যাডভান্সড অ্যাটাক অ্যান্ড রিকনসান্স হেলিকপ্টারও পাকিস্তানে রফতানি করা হবে বর্ধিত সম্পর্কের আওতায়। দুই দেশ এ ধরনের ৩০টি হেলিকপ্টার রফতানির ব্যাপারে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে চুক্তিবদ্ধ হয়।

প্রতিরক্ষা নির্মাণকারী টার্কিশ এ্যারোস্পেশ ইন্ডাস্ট্রিজ এরপর হেলিকপ্টার পাকিস্তানে বিক্রি করার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ইঞ্জিনবিষয়ক সহায়ক প্রতিষ্ঠান টিইউএসএস ইঞ্জিন ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে মিলে স্থানীয়ভাবে হেলিকপ্টার ইঞ্জিন উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সূত্র: এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন