বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বার্সেলোনাকে স্বস্তি দিল গিজমান

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ড্রিস মের্টেন্সের রেকর্ড ছোঁয়া গোলে হারতে বসেছিল বার্সেলোনা। নাপোলির জমাট রক্ষণ ভাঙা যাচ্ছিল না কোনোমতে। শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পেলেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। নাপোলির মাঠে কোনমতে হার এড়াতে পারে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। গতপরশু রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০০৬ সালে সবশেষ কোন ইতালিয়ান ক্লাবকে তাদের মাঠে হারিয়েছিল বার্সা। সেবার এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারানোর ম্যাচে নাপোলির বর্তমান কোচ গাততুসোও ছিলেন হারের সাক্ষী। এছাড়া বাকি ৫টি ম্যাচের চারটিতে হেরেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। বাকি একটি ম্যাচ ছিল ড্র।

সাও পাওলোয় এদিনও যেন দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়েছিল স্বাগতিকরা, যেটা ভাঙার কোনো পথ প্রথমার্ধে খুঁজে পাচ্ছিলো না লিওনেল মেসি-গ্রিজমানরা। প্রথমার্ধে বার্সেলোনা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোনো শট। ২৭তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে একটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। বামে অরক্ষিত গ্রিজমানকে বল বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোস্তাস মানোলাস কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন।

প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলা নাপোলি দশম মিনিটে প্রথম লক্ষ্যে শট নেয়। দুর্বল সেই শটে কোনো বিপদ ছিল না। ৩০তম মিনিটে লক্ষ্যে থাকা পরের শটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মের্টেন্সের এই গোলে দায় আছে জুনিয়র ফিরপোর। নিজেদের অর্ধে তিনি বল হারালে পিওতর জিলিনিস্কির পা ঘুরে বল পান অরক্ষিত মের্টেন্স। ডি বক্সে ঢুকে বুলেট গতির শটে খুঁজে নেন জাল। এই গোলে নাপোলির হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকার চ‚ড়ায় থাকা মারেক হামসিককে (১২১) স্পর্শ করলেন বেলজিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের পুরোপুরি গুটিয়ে নেয় নাপোলি। বার্সেলোনাকে এতো জায়গা দেওয়ার মাশুল দেয় গোল হজম করে। সের্হিও বুসকেতসের ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে নেলসন সেমেদো নিচু ক্রসে খুঁজে নেন গ্রিজমানকে। বাকিটা সহজেই সারেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। সমতা ফেরার পর গা ঝাড়া দেয় নাপোলি। ৬১তম মিনিটে আবার প্রায় এগিয়ে যাচ্ছিল। লরেন্সো ইনসিনিয়ের শট ঝাঁপিয়ে কোনো মতে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। দুই মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর মেরে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন হোসে কায়েহন। দুই দলের সামনেই সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার। তবে কাজে লাগাতে পারেনি কেউই।
আগামী ১৮ মার্চ রাতে ফিরতি লেগে ক্যাম্প ন্যু’য়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি। হলুদ কার্ডের জন্য ওই ম্যাচে খেলা হবে না বুসকেতসের। ফাউল ও প্রতিক্রিয়ার জন্য দুটি হলুদ কার্ড দেখে ৮৯তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন আর্তুরো ভিদাল। ঘরের মাঠের ম্যাচে তাকেও পাবে না বার্সেলোনা।

একই রাতে শেষ ষোলর অপর ম্যাচে চেলসিকে তাদেরই মাঠে গুড়িয়ে দিয়ে শেষ আটের পথ অনেকটাই সহজ করে রেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথমার্ধে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি বায়ার্ন। গোলমুখে দুটি শট নিলেও গোলের দেখা পায়নি ২০১১-১২ মৌসুমে বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা চেলসিও। একাধিক সেভ করেও চেলসিকে ম্যাচে রাখা গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়ারো দ্বিতীয়ার্ধে আর পারেনি। ৫১তম মিনিটে রবের্ত লেভান্দোভস্কির বাড়ানো ক্রস থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন সের্গি জিনাব্রি। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচ জুড়ে দারুণ আলো ছড়ানো লেভান্দোভস্কি জালে দেখার পান ৭৬তম মিনিটে। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।

আগামী ১৮ মার্চ রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হবে ফিরতি লেগ। শেষ দিকে নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মার্কোস আলোনসো লালকার্ড পাওয়ায় শেষ আটের পথ আরও কঠিন হয়ে গেছে চেলসির।

এক নজরে ফল
নাপোলি ১-১ বার্সেলোনা
চেলসি ০-৩ বায়ার্ন মিউনিখ
*প্রথমে স্বাগতিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন