বরিশালের মেঘনা মোহনার মিয়ার চরে চরমোনাই মাহফিলে অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৭শ’ মুসল্লি নিয়ে আটকে পড়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কাজল-৭ দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টা পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় যাত্রীরা তীব্র খাবার সঙ্কটে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া লঞ্চটি চরমোনাই দরবার শরীফে পৌঁছেছে। এর আগে গতকাল দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে আটকে পড়া লঞ্চটির প্রায় দেড় হাজার যাত্রীকে অন্য লঞ্চের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়।
মিয়ারচরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আ. রাজ্জাক জানান, কাত হয়ে আটকে থাকা লঞ্চটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। লঞ্চটিতে অবস্থানরত যাত্রীদের মধ্যে তীব্র খাবার সঙ্কট দেখা দেয়। লঞ্চের ভেতরে থাকা ক্যান্টিনে দ্বিগুণ দামে খাবার বিক্রি করা হচ্ছিল। এমভি কাজল-৭ নামে লঞ্চটি গত সোমবার বিকালে আশুগঞ্জের শিববাড়িয়া থেকে ১৭শ’ যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হয়। মঙ্গলবার ভোর ৪টায় মেঘনা নদীর হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের মিয়ারচরের ৯ নম্বর মাছ ঘাটের সামনে ডুবোচরে আটকা পড়ে।
তিনি আরও জানান, লঞ্চটির অদূরে আরও একটি লঞ্চ চরে আটকে পড়ে। তবে অন্ধকারের কারণে সেটির সম্পর্কে তথ্য নেয়া যাচ্ছে না। আশপাশে কোনো জনবসতিও নেই। লঞ্চের যাত্রী মো. শরিফ মুঠোফোনে জানান, তারা চরমোনাই মাহফিলে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় আটকে পড়ায় চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন