বিমস্টেক এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভূটানের বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলো এ বিষয়ে কাজ করছে। বে অফ ব্যাঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মালটি-সেক্টোরাল টেকনিকেল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন(বিমস্টেক) কার্যকরভাবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈকিত সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে, সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টিগ্রেটিং বিমস্টেক-২০২০ এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাকবে বলে আমি মনে করি। বিমস্টেক এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য সকল সদস্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্য টেকসই করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ভোক্তারকে সহনীয় মুল্যে পণ্য সরবরাহ করতে বাণিজ্যের ব্যয় কমানো প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ধরনের উদ্যোগ গহণ করলে ভোক্তাগণ উপকৃত হবেন।
গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারত চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি-এর উদ্যোগে মুম্বাই এ ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারে দু’দিন ব্যাপী ‘বিমস্টেক এক্সপো-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে এবং ২০২৭ সালের পর আর এলডিসি দেশের বাণিজ্য সুবিধা পাবে না। বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে পারস্পরিক দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। আমরা বিশ্বাস করি এ অঞ্চলের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি রতে বিমস্টেক সাপটা এবং আসেয়ান দেশ সমুহের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির মহাপরিচালক ড. রাজিব সিং। গেষ্ট অফ অনার ছিলেন ভারতের এক্সটার্নার এফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি ভিরান্দার পাউল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, বিহার রাজ্যের ইনভেস্টমেন্ট কমিশনার আর এস শ্রীভাষ্টাভা, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকুইনহা। অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন বিমস্টেক সেক্রেটারিয়েট এর পরিচালক ড. ধামারু বল্লবহা পাওডেল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন