শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ট্রাম্পের রাজকীয় ভারত সফরে অর্জন কী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রথমবারের মত ভারত সফর করে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নেক নজরে আসতে যথাসাধ্য সবকিছুই করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এমনকি বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও।

ট্রাম্প এমন সময়ে ভারত সফর করলেন যখন দেশটি বেশ অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে। এছাড়া ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টিকারী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও কাশ্মীরসহ আরো বেশকিছু ইস্যুতে অস্বস্তিতে রয়েছে তারা। সর্বশেষ বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তির উপস্থিতিতেই ভারতের স্থ’ূল নিরাপত্তার খোলনলচে বেরিয়ে এসেছে। খোদ রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বহু বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি মসজিদও।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ভারত বিষয়ের পরিচালক তানভি মাদন বলেছেন, ট্রাম্পের এ সফর মোদিকে রাজনৈতিকভাবে চাঙা করবে। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির পাশে দেখা যাবে, যা তার জন্য ভালো সংবাদ তৈরি করবে।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রাম্পের ভারত সফরের পেছনে অন্যতম কারণ হলো ভারতীয়দের কাছে নিজের একটি ভালো ইমেজ দাঁড় করানো ও জনপ্রিয়তা বাড়ানো। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৫ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। এ সফর তাদের সমর্থন অর্জনের একটি সুযোগ।

সাধারণত ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন নাগরিকরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেন। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়ে তাদের বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। ন্যাশনাল এশিয়ান আমেরিকান জরিপ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নির্বাচনে মাত্র ১৬ শতাংশ ভারতীয় ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে।

ভারতের সফরের আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দেশটির সঙ্গে এখনই বড়সড় কোনো চুক্তিতে যেতে চান না তিনি। তবুও সফরটির মূলকেন্দ্রে ছিলো সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য চুক্তি। গত কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে উভয় দেশের অনড় অবস্থানের কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।

তবে দুই দেশের মধ্যে একটি লোক দেখানো প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৪টি এমএইচ-৬০ রোমিও সি-হক হেলিকপ্টার ও ৬টি এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কিনবে। এ চুক্তি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, এর মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরো জোরদার হলো। এতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আমি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত ও ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়েও আমরা সম্মত হয়েছি।
প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়াও কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সমস্যা। তাই দুই দেশ চাইলে তিনি মধ্যস্থতা করবেন। তবে সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে তার মন্তব্য, ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসের মোকাবিলায় সক্ষম। আর পাকিস্তান এখন সন্ত্রাস থামাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ সে বিষয়টি ট্রাম্পের বক্তব্যে উঠে আসে। সূত্র : ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
লায়লা বিলকিস চৌধূরী ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 0
মুদির ক্ষমতা দীর্ঘ স্থায়ী করার জন্য ২8 টি মুসলমানের লাশ।
Total Reply(0)
MD Shahadat ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 0
মুসলমানদের সাথে যুদ্ধের মদদ দেওয়া ই ছিল সফর ,
Total Reply(0)
Md Absar ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
জালিম সরকারের পাশের দেশ্ বাংলাদেশ, জালিম মোদি সরকার থেকে আমাদের বাংলাদেশের সরকারের কিছুই শেখার নেই, তাই মোদী জেন বাংলাদেশের না আসলে খুশি হব,,,
Total Reply(0)
আলো আধারের যাত্রী প্রিতম ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
নিজ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা নেই জেনেও, অন্য দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নিয়ে কথা বলার মানসিকতা পাই কই? #সুবোধ যে পালিয়েছে মনে আছে?
Total Reply(0)
Imran Sarker Lemon ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
আমেরিকা এবং ইসরায়েল এর নীলনকশায় ক্ষমতায় এসে, তাদের কথামত সুবিধামতো নিয়ম নিতি দক্ষিণ এশিয়া তে চলে না৷ দক্ষিণ এশিয়া তে সকল ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করে দেশ কে উন্নয়ন করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া তে ভারত অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে তাহলে তারা যদি এই ধরনের বিভাগে নিয়োজিত থাকে তার প্রভাব পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশেই বিরাজ করে এবং তৈরি হয় হিংসা বিদ্বেষ।
Total Reply(0)
Mohammad Abul Mamun ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপির হটকারিতায় আজ ভারতজুড়ে সর্বত্র চলছে দাঙ্গাহাঙ্গামা। অপরের জন্য অন্য ধর্মের লোকের জন্য ভালবাসা ও মমত্ববোধ এই জাতির মধ্যে বিন্দুমাত্রও নাই।
Total Reply(0)
Imtiaz Ahmed ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
অস্ত্র বিক্রিই যার মূল উদ্দেশ্য,সে আর কি করবে।আমেরিকার থেকে অস্ত্র কিনে আল-কায়েদা,আইএস।আবার আমেরিকায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
Total Reply(0)
Mohammad Manik ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
বৃটিশ থেকে অধিকার আদায়ের জন্য বৃটিশ বিরোধী নেতা সুর্যসেন যদি অস্ত্র হাতে নিতে এরা কেন পারবে না, শিয়ালের মত হাজার বছর বাছার চেয়ে বাঘের মত এক দিন বেচে থাকা উত্তম।
Total Reply(0)
Mohammad Atowar Rahman ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
ভারতের মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে সেক্যুলার হয়ে কি বাঁচাতে পারছে! ওহে ভারতের মুসলিম সেক্যুলার না হয়ে মুসলিম হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা কর। তেমনি বাংলাদেশের মুসলিমেরও একই অবস্থা।
Total Reply(0)
Ziared Rahman ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
অধিকার আদায় করতে গিয়ে যদি শান্তি নষ্ট হয় তাহলে দোষ টা কার!!! ভারতের মুসলিমদের অধিকার কেরে নিচ্ছে বিজেপি মুদি সরকার, সেই অধিকার আদায় করতে যদি অশান্তি হয় তাহলে মুসলিমদের করার কিছু নেই।
Total Reply(0)
Rais Uddin ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
ভারতের অখন্ডতা নষ্ট করার জন্য পাকিস্তানকে অহেতুক কষ্ট করতে হবে না। এরা কামড়া কামড়ি করে খন্ড খন্ড হয়ে যাবে। বিজেপির ভুল রাজনীতি এর মাশুল এভাবেই গুনতে হবে।
Total Reply(0)
Atikur Rohman ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন গণতান্ত্রিক দেশে এই রকম এক তরফা সিদ্ধান্ত নিলে পরিস্থিতি তাই হওয়ার কথা। জনগণ মাঠে নেমে গেলে অনেক ঝামেলা সামাল দিতে হবে। সবাই তো মানুষ। মানুষ মানুষের ক্ষতি করবে,,,এইটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন