শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাইফস্টাইল

মোবাইল ফোন ব্যবহারে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সমীক্ষায় দেখা যায় যে, ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার রাতের ঘুম নষ্ট করে দিতে পারে। মোবাইল কোম্পানী সমূহের অর্থে পরিচালিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য এই যে, হেন্ডসেট এর রেডিয়েশন এর জন্য তন্দ্রাহীনতা, মাথাব্যথা এবং সন্দেহ বা সংশয় বাতিক দেখা দিতে পারে। এর ফলে আমাদের গভীর স্বাভাবিক এবং পর্যাপ্ত ঘুম কমে যেতে পারে এবং শারীরিক প্রফুল্লতার ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে। এই সমীক্ষাটি পরিচালিত হয় সুইডেন’স্থ ক্যারোলিন্সকা ইনিষ্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে।
মোবাইল প্রস্তুতকারক ফোরাম এর ফান্ডে বিজ্ঞানীরা ১৮-৪৫ বছর বয়সের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ এবং ৩৬ জন মহিলার উপর গবেষণা করেছেন। কিছু লোকের রেডিয়েশনে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারেও একই ক্ষতি হয়েছে। অন্যদের একই অবস্থায় রাখা হয়েছিল কিন্তু শুধুমাত্র “সেইম” এক্সপোজার দেয়া হয়েছে। যাদেরকে রেডিয়েশনে বেশী সময় রাখা হয়েছিল তাদের গভীর ঘুমে যেতে বেশী সময় লেগেছিল এবং অল্পসময় এরা গভীরভাবে ঘুমিয়েছিল।
গবেষক অধ্যাপক বেনট আরনেট বলেছেন, পরীক্ষায় প্রতীয়মান হয় যে মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেইনের বিশেষ পরিবর্তন হয় যা সংবেদনশীলতাকে বাড়িয়ে দেয়। অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে, রেডিয়েশন “মেলাটোনিন” যা দেহের অভ্যন্তরীন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার প্রবাহকে ধরে রাখে, তার উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়।
বৈদ্যুতিক সংবেদনশীলতাঃ
এই সমীক্ষায় প্রায় অর্ধেক লোক তাঁদেরকে “বিদ্যুত সংবেদনশীল” বলে মনে করেন এবং তাদের মাথাব্যথা এবং স্নায়ুবিক কাজ বাধাগ্রস্থ হয়। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেন না মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের জন্য এটা হয় কিনা।
স্বাস্থের উপর ইলেকট্রো-মেগনেটিক এর প্রভাব বা প্রতিক্রিয়ার গবেষক মিঃ এলাসডেয়ার ফিলিপস্ যিনি পাওয়ারওয়াচ এর পরিচালক মনে করেন যে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন প্রতিক্রিয়ার সুস্পষ্ট ধারণা আছে, তাই আমাদেরকে আরো সতকর্তার সাথে কাজ করতে হবে। গবেষণায় জানানো হয় যে যদি বিকালে বা রাতে ফোনে কথা বলতে হয়, তাখন মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করা ভাল এবং বিছানার পাশে মোবাইল ফোন না রাখাই উত্তম কাজ। যদিও মিঃ মাইক দোলান, মোবাইল অপারেটর এসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক উক্ত ধারণার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন এটা বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে এক বিন্দু পানি মাত্র। এক কাপ কফি পান করলে যে ক্ষতি হয, তা এর চেয়েও কম। যুক্তরাজ্য মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন এবং হেলথ রিসার্চ প্রোগ্রাম এর উদ্যোগে ছয় বছর ব্যাপী এক সমীক্ষায় উপসংহারে বলা হয় যে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেইনের স্বল্প-কালীন সমস্যা হয় না। কিন্তু গবেষকগণ দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোনের সার্ভিস সমূহ ৮৭২ হতে ৯৬০ মেগাহার্টস, ১৭১০ হতে ১৮৭৫ মেগাহার্টস এবং ১৯২০ হতে ২১৭০ মেগাহার্টসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। (সূত্রঃ অ্যামেরিকান একাডেমি অব অটোল্যারিংগোলজী - হেড এন্ড নেক সার্জারী )

অধ্যাপক ডাঃ এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
রোড ৮, ধানমন্ডি, ঢাকা, ০১৯১৯ ২২২ ১৮২
ই-মেইলঃ alamgir.chowdhury07@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন