শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, সিরিয়ায় বড় সাফল্য তুরস্কের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ এএম

তুরস্কের সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর সারাকেব পুনরায় দখল করে নিয়েছে। এটি সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর জন্য প্রথম বড় ধাক্কা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর বিমান হামলায় তুরস্কের অন্তত ৩৪ সেনা নিহত হন। এ ঘটনায় তুরস্কের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার তুরস্কের পাল্টা হামলায় ১৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। ব্রিটেনভিত্তিক সিরীয় অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বিদ্রোহীদের হটিয়ে মাস তিনেক আগে সরকারি বাহিনীর দখলে নেয়া অঞ্চলটিতে সিরিয়ার সামরিক অবস্থানে ড্রোন ও গোলা বর্ষণ করে তুর্কি বাহিনী। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দামেস্কোর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। খবরে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় আসাদবাহিনী বিরোধীদের হাত থেকে ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে গত কয়েক দিন ধরেই হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা বাড়িয়ে চলছে। বৃহস্পতিবারের হামলা তারই নজির।

এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, দুটি প্রধান মহাসড়কের সংযোগস্থলে অবস্থিত সারাকেব শহরটি বিদ্রোহীদের হঠিয়ে দখলে নিয়েছিল রাশিয়ার সমর্থিত সিরিয়ার সরকারী বাহিনী। তিন সপ্তাহ পরে শহরটি পুণরায় বিদ্রোহীদের দখলে আসায় পরিস্থিতি আঙ্কারার পক্ষে আসলো।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তুর্কি সামরিক বিশেষজ্ঞরা ইদলিব প্রদেশের উপরে রাশিয়ান এবং সিরিয়ার সামরিক বিমান গুলি করার চেষ্টা করার জন্য কাঁধে চালিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ব্যবহার করছিলেন - এটি এমন একটি উন্নয়ন যা নিশ্চিত হলে এই সংঘাতের মারাত্মক বৃদ্ধি ঘটবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সিরিয়ার যুদ্ধ বিমানগুলি বৃহস্পতিবার ইদলিব নগরীর আবাসিক এলাকায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

এদিকে ইদলিব প্রদেশে সিরিয়া সরকার ও তার মিত্র রাশিয়ার ঘৃণ্য অভিযান বন্ধের আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া তুরস্কের ৩৩ সেনা নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা ন্যাটোমিত্র তুরস্কের পাশে রয়েছি এবং আসাদ সরকার, রাশিয়া ও ইরানসমর্থিত বাহিনীর ঘৃণ্য অভিযান তাৎক্ষণিক বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, তুরস্ককে কীভাবে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন দিতে পারি, তার ভালো বিকল্প ভেবে দেখছি।

তুরস্কর কাছ থেকে তথ্য চেয়ে আহবান জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ন্যাটোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূজানান, আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভেবে দেখবেন, আমরা তাদের অতীত ও বর্তমানের মিত্র। কাজেই এস-৪০০ ক্রয় পরিকল্পনা বাতিল করা প্রয়োজন। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
ash ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২১ এএম says : 0
AI HOCHE ARAB, MUSLIM ! SHOTRUTAMI KORTE BESHKHUN LAGE NA, HAT PATTEO BESHIKHON LAGE NA !! AFRICAN WILLABY
Total Reply(0)
Md Jahangir Alam ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
যুদ্ধ কোন সমাধান নয়, যেহেতু দুটোই মুসলিম রাষ্ট্র সেহেতু সমাধানের রাস্তা খুবই সহজ। শুধু মাত্র দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের সৎ ইচ্ছাই যথেষ্ট
Total Reply(0)
Amir Ahmed ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 5
যুদ্ধ হলে তুরস্কের মার খাওয়ার আশংকা বেশি। কারণ সিরিয়ার পক্ষে রাশিয়া ও ইরান সরাসরি সাপোর্ট দিবে। তুরস্কের পক্ষে তেমন কেউ নেই।
Total Reply(0)
Ziared Rahman ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
এখানে রাশিয়া দ্বিমুখী অবস্থান করছে, তা ছাড়া রাশিয়া অশ্রু বিক্রি করার জন্য দ্বিমুখী ভাবে যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করছে। তুরুস্কের যে ৩৩ সেনা মারা গেছে তার জন্য রাশিয়া দায়ী যদি ও তারা ভুল স্বীকার করছে। তবে আমার মতে যুদ্ধ না করাই ভালো।
Total Reply(0)
Tamzid Bin Zakir ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
তুরস্কে ৪০লক্ষ মানুষকে জায়গা দিয়েছে এর মধ্যে প্রতিদিন নতুন করে তুরস্কে প্রবেশ করছে ইদলিব প্রদেশে সিরিয়া যে হামলা করছে তাতে আরো ৪৫লক্ষ মানুষ রাষ্ট্র হারা হবে এ মানুষ গুলো কোথায় যাবে এ্ররা তো সবাই সিরিয়ার নাগরিক আসাদ মানুষ চায় না জমি চায়।তুর্কিদের কি বা আর করার আছে ।
Total Reply(0)
Feruz Ahammad ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 2
তুরস্ক সিরিয়া মধ্যেকার যুদ্ধ হলে আমরা বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত আছি,সাবমেরিন যুদ্ধ জাহাজ,ব্যালেস্টিক বোমা,হাইড্রোজেন বোমা,আধুনিক যুদ্ধ বিমান দিয়ে সহযোগিতার জন্য তৈরি।
Total Reply(0)
Muhammad Asadul Islam ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 2
ন্যাটো তুরস্কের জন্য কিছুই করবেনা। তুরস্কের বিপদে ন্যাটো কোনপ্রকার সাহায্য করবেনা, এটা নিশ্চিত বুঝা উচিৎ তুরস্কের। রাশিয়ার সাথে ঝামেলা করে তুরস্ক নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে।
Total Reply(0)
Md. Zahirul Islam ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১৫ পিএম says : 0
যুদ্ধ কোন সমাধান নয়,
Total Reply(0)
Monjur Rashed ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:৫১ পিএম says : 0
Turky is getting involved in uneven war with it's overestimated capability
Total Reply(0)
জামসেদ ৩ মার্চ, ২০২০, ৬:৩৩ পিএম says : 2
যেহেতু দুটোই মুসলিম রাষ্ট্র সেহেতু দু্ই রাষ্ট্র প্রধান ইরানের মধ্যস্ততায় সমাধানের রাস্তা বের করার জন্য বসতে হবে। শুধু মাত্র দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের সৎ ইচ্ছাই যথেষ্ট।
Total Reply(0)
Dr.Iftekhar Ahmed ৩ মার্চ, ২০২০, ১০:২৩ পিএম says : 0
তুরস্ক রাশিয়া ও ইরান একসাথে সিরিয়া থেকে মার্কিন সমর্থিত ইসলামি ইগিলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এখন আবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরদাগান এই ইসলামিদের সমর্থনে মার্কিনেদের হয়ে যুদ্ধ করছে। কারণ তুর্কিদের কোন নিতী নেই তারা সিরিয়ার তেল লুট করতে এই যুদ্ধ চালাচ্ছে ও সরনার্থিদের মাধ‍্যমে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ইউরো পাওয়ার জন‍্য সরনার্থিদের গ্রিসে ও বলগারিয়ার বর্ডারের দিকে পাঠাচ্ছে। এটা আতর্জাতিক রাজনৈতিক বেনিফিট নেয়ার কৌশল মাত্র।
Total Reply(0)
gil ৪ মার্চ, ২০২০, ৪:২৮ পিএম says : 0
এখানে পলিটিক্স না বুঝে অনেকে কমেন্ট করছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন