শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতির হালচাল

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ এএম

বিগত এক বছরেরও অধিক সময় যাবত দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতিতে স্থবিরতা চলছে। সরকারি দলের এমপিদের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে রাজধানীমুখী হয়ে পড়ায় তৃনমূল পর্যায়ে যোগাযোগ শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজনীতিবিদদের ভ‚মিকা ক্রমশ গৌণ হয়ে উঠছে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে যথাযথ ভ‚মিকা পালন না করায় দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এ অভিযোগ আমজনতার। একইসাথে বিরোধী দলের যে দু’একজন এমপি আছেন তাদের ভ‚মিকাও সাধারণ মানুষকে খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারছে না। তবে এ রাজনৈতিক স্থবিরতায় বিএনপির ভ‚মিকা খুব জোরালো না হলেও পুলিশি বাধার মধ্যেও কয়েকটি জেলায় কর্মসূচি পালনের মধ্যে দিয়ে তারা অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।
গত নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে ৩, আওয়ামী লীগের ১৮ ও জেপির একজন এমপি নির্বাচিত হবার পর থেকেই তারা এলাকার সাথে ক্রমশ যোগাযোগ হ্রাস করতে থাকেন। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। পিরোজপুর-১ আসনের শ ম রেজাউল করিম ও বরিশাল সদর আসনের জাহিদ ফারুক শামীম মন্ত্রী হয়েও প্রতি শুক্র-শনিবার এলাকায় আসেন। পিরোজপুর-২ এর আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও মাসে দু’একবার এলাকায় আসেন। তবে ৩টি উপজেলা নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা গঠিত হলেও তিনি কিছুটা নিজ আবাসস্থল ভান্ডারিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকেন বলে অনুযোগ রয়েছে। বরিশাল-১ আসনের এমপি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এলাকায় আসলেও তার যোগাযোগ সাধারণ মানুষের চেয়ে দলীয় নেতা-কর্মী এবং আমলা-পুলিশ পর্যায়ে বেশি। অপরদিকে আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমদের নির্বাচনী এলাকায় সীমিত যাতায়াত থাকলেও তারাও নেতা-কর্মীদের গÐির বাইরে যেতে পারছেন না। এর বাইরে অন্য জেলাগুলোর বেশিরভাগ এমপিই এলাকার সাথে নিবিড় যোগাযোগ বা আমজনতার সাথে খুব একটা সম্পর্ক রাখছেন না।
অপরদিকে দমন পীড়নের মধ্যেও কয়েকটি জেলায় এখনো বিএনপি তার অস্তিÍত্বের জানান দিচ্ছে। তবে তাও বরিশাল-পিরোজপুরকে বাদ দিলে খুব একটা লক্ষণীয় নয়। পটুয়াখালী ও ভোলায় বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাÐ সীমিত হয়ে পড়েছে। এর পেছনে জেলা পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতাদের এলাকায় না থাকাসহ বিগত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক দমন পীড়নে মাঠ কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও হয়রানির ভয় কাজ করছে।
তবে ক্ষমতাসীন দল ও সংসদের বিরোধ দলের যথাযথ ভ‚মিকার অভাবের সাথে মাঠের বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাÐের অভাবে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলই ক্রমশ রাজনীতি শূণ্য হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষও। আর এতে করে আমলাসহ অপর একটি শ্রেণি বৃটিশ যুগের মত করে সমাজে অবস্থান শক্ত পোক্ত করছে। যারা ইতোমধ্যেই জনগণকে প্রজা ভাবতেও শুরু করেছে। এ লক্ষণটি দক্ষিণাঞ্চলের সুস্থ রাজনৈতিক চর্চাসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার জন্য সুখকর নাও হতে পারে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন