শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

২ হাজার ১০০ এরও বেশি সৈন্য নিহত, ৯৪টি ট্যাঙ্কসহ ৩০০ গাড়ি ধ্বংস

আসাদকে বড় ধাক্কা দেয়া হয়েছে : এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ার আসাদ সরকারকে বড় রকমের ধাক্কা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিরিয়া যুদ্ধে শত্রুপক্ষের ২ হাজার ১০০ এরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে, ৯৪টি ট্যাঙ্ক ও অস্ত্রসজ্জিত সাঁজোয়াসহ ৩০০টি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। খবর আল-জাজিরা, হুররিয়াত, আরটি। তিনি তার ডলমাবাচী অফিসে ইস্তাম্বুলে আইন প্রণেতাদের সাথে দলীয় বৈঠককালে বক্তব্য রাখছিলেন। এরদোগান তার বক্তব্যে বলেন, ইদলিব অভিযানে আমাদের শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৩৬-এ উন্নীত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের শহীদরা এ ক্ষেত্রে জাতিকে একটি স্বদেশভূমি উপহার দেয়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করেছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে বসবাসরত এবং অন্যান্য জায়গা থেকে পালিয়ে আসা ৪ মিলিয়ন মানুষ এখন আসাদ সরকারের রক্তাক্ত হামলার কারণে আমাদের সীমানায় চলে এসেছে। এর মধ্যে দেড় মিলিয়ন বর্তমানে আমাদের সীমান্তে রয়েছে। আমরা এই সকল মানুষগুলোর জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির এবং এ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি। প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা যখন বিশেষ লড়াই চালাচ্ছি, তখন আমরা যে পরামর্শগুলো এখানে করব তা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আফসোস করছি তাদের জন্য, যারা রাজনীতিতে, মিডিয়াতে বা অন্যান্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আছেন, এখনও সিরিয়ায় আমাদের দেশের সংগ্রামের অর্থ বুঝতে পারেন না। তিনি বলেন, আমরা এমন ব্যবস্থা নিয়েছি যে, সন্ত্রাসী সংগঠনটি যেন মাঠে থাকতে পারে না। সন্ত্রাসী সংস্থাগুলো আমাদের নাগরিকদের শোষণ করেছে, এমন সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এই পদক্ষেপগুলোর ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আল্লাহর সাহায্য ও আমাদের জাতির সহায়তায় আমরা একে অপরের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অগ্রসরতার পথ অব্যাহত রেখেছি। তারা সুলতান মসজিদটি তিন দিন এবং তিন রাত দখল করে রেখেছিল এবং আমরা সেখান থেকে বিয়ারের বোতল সংগ্রহ করেছিলাম। আমাদের এইসব অভিজ্ঞতাও আছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিলম্ব অনুভব করছি। তবে আমরা কখনই আমাদের দেশকে মাটিচাপা দিতে এবং পুরানো দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিইনি। ইদলিব ইস্যুটি এমন একটি বিষয় হিসাবে আমাদের সামনে এসেছিল যা বিশেষত কল্পিত এবং অন্যান্য সাফল্যগুলো কেড়ে নিতে উস্কে দেয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইদলিব প্রদেশ পুনর্দখলের জন্য রাশিয়ার সামরিক সমর্থন নিয়ে ব্যাপক যুদ্ধ চালাচ্ছে। ইদলিব হচ্ছে সিরিয়ার ভেতরে বাশার আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সবশেষ ঘাঁটি। এখানে একাধিক সিরিয়ান বিদ্রোহী, জিহাদি ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী রয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার নিচ্ছে তা হলো, তুরস্ক হচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অন্যদিকে সিরিয়ার বাশার আসাদ সরকারের মিত্র বা প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে রাশিয়া। মূলত রাশিয়াই আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। আর এক্ষেত্রে রাশিয়া ও আসাদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি করেছে ইরান। তাই তুরস্ক আক্রান্ত হলে ইদলিবের যুদ্ধে পরাশক্তিগুলো জড়িয়ে পড়ে কিনা, সেই আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল। আল-জাজিরা, হুররিয়াত, আরটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Monjur Rashed ১ মার্চ, ২০২০, ১১:২৪ এএম says : 0
President Erdowan's claim of success is not endorsed yet by any international media like Aljajira or BBC
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন