বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গুজব-গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের পাঁচ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

গুজব রটনা ও গণপিটুনির পুনরাবৃত্তি রোধে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গণপিটুনিতে রাজধানীতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় জারিকৃত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল রোববার এ নির্দেশনা দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে : (১) পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার (এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মিটিং করবেন। (২) গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেনতা তৈরির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার অব্যাহত রাখবেন। (৩) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো ধরণের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, এমন কোনো তথ্য পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। (৪) যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, বিলম্ব না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে জানাবেন। (৫) গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনা ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার, উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
প্রসঙ্গত: ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে-তা জানতে চান আদালত। একটি গুজবকে কেন্দ্র করে গতবছর ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যা করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে করা এক রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ওই বছর ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন