শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন ১

স্টাফ রিপোটার, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পশ্চিম কাজীরগাঁও গ্রামের মিয়াজী বাড়ীতে পুকুর ঘাটে বাছুর বেঁধে রাখা কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অপরাধে আসামী মো. জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মো. রিপনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, এবং অপর আসামী ফারহান ওরফে ফেন্সীকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত
গতকাল রোববার বিকেলে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন। নিহত নাসির উদ্দিন মিয়াজী বাড়ীর আব্দুল মতিন মিয়াজীর ছেলে। বাদী ও বিবাদীরা একই বাড়ীর বাসিন্দা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. জুয়েল, পৃথক সাজাপ্রাপ্ত রিপন ও ফারহানা মিয়াজী বাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে এবং মেয়ে।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মামলার বাদী মো. গিয়াস উদ্দিন ও তার আপন ভাই নিহত নাসির উদ্দিন রমজানে ইফতারের পর বাড়ীর পুকুরে নামাজের জন্য অযু করতে যান। ওই সময় বাড়ীর ইজমালি রাস্তায় পুকুরের পাড়ে বিবাদী রিপনদের একটি গরুর বাছুর দেখতে পায়। তখন নাসির ওই বাচুরটির রশি খুলে ছেড়ে দেয় এবং অন্যত্র নিয়ে যেতে বলে। তখন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিপন তাদের ঘরে থাকা শাবল দিয়ে নাসিরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রিপনের সাথে অপর আসামী জুয়েল ও ফেন্সি ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাসিরকে বেধম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে উদ্ধার করার জন্য তার স্বজনরা আসলে তাদেরকেও মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় নাসিরকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নাসির উদ্দিনের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন ঘটনার দিন বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ৫জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান ব্যাপক তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
পিপি রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি প্রায় ১৩ বছর আদালতে চলমান অবস্থায় ১৫জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমান ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা পলাতক ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন