বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হাইব্রিড ধানে অনীহা বগুড়ার চাষীদের

মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ৩ মার্চ, ২০২০

বগুড়া কৃষি অঞ্চলে বোরো মৌসুমে হাইব্রিড ধান আবাদে হঠাৎই বড় ধাক্কা এসেছে। চাষীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অনীহা। বোরো চাষ মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায়ে বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে ব্যবসায়ীদের শত শত বস্তা হাইব্রিড বীজ অবিক্রিত রয়েছে ।
বীজ ব্যবসায়ী ও চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উচ্চ ফলনের চটকদার কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ধান চাষীরা গত এক দশকে বহুবার হাইব্রিড ধান আবাদ করে প্রতারিত হয়েছে। প্রতারণার ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বারপুর ও নামুজা এলাকার প্রান্তিক চাষী নাহিদ (৩০) আলম মিয়া (৪৫) জানায়, হাইব্রিড ধানের ফলন বেশি হলেও বিভিন্ন রোগ ও বিরূপ আবহাওয়া সহিষ্ণু নয় এটি।
এছাড়া উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের চিকন জিরাশাইল ও কালিজিরা এবং কাটারি ধানের বীজ সহজলভ্য হওয়ায় চাষী ওই দিকেই ঝুঁকছে। ভোক্তা পর্যায়ের চাহিদার কথা চিন্তা করে মিলাররাও বিআর ২৯ (জিরা শাইল) ও কাটারি জাতের ধান কিনতে বেশি আগ্রহী হওয়ায় মূলত হাইব্রিড ধানচাষে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষীরা ।
বগুড়া বীজ ডিলার এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও প্রবীণ বীজ ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন এ সম্পর্কে জানান, গত বছরও তার গোডাউনের হাইব্রিড ধানের বীজ মৌসুমের শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে। সাড়ে ৩শ’ টাকা বস্তার হাইব্রিড বীজ বিক্রি হয়েছে ৫/৬শ’ টাকায়। অথচ এবার কোম্পানির নির্দেশনা মোতাবেক ৩শ’ টাকা দাম ধরলেও চাষীর কাছে এখন পর্যন্ত অর্ধেক বীজও বিক্রি পারেননি।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া কৃষি অঞ্চলে এ বছর ৩৭ হাজার ৬শ’ ৫৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
অপরদিকে চলতি বোরো মৌসুমে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদেও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে চারা রোপনের কাজ শেষ হয়েছে যার শতকরা হার ৬২ শতাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন